তাদের অমতে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ছেলে। তারই শাস্তি হিসেবে কিশোরীকে হত্যা করল তার বাবা- মা। বস্তায় ভরে মেয়ের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার পরেও অবশ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল তারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভুতনিয় থানা দক্ষিণ চণ্ডিপুরের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরীর নাম প্রতিমা মন্ডল (১৬)। অভিযুক্ত বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে ভূতনি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- শাশুড়িকে বিয়ের প্রস্তাব! রাজি না হওয়ায় মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটাল জামাই
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিমা মণ্ডল নামে ১৬ বছরের ওই কিশোরী পশ্চিম নারায়ণপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার সঙ্গে পাশের গ্রামের এক যুবকের মেয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে খবর। যে সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল কিশোরীর বাবা ধীরেন মণ্ডল এবং মা সুমতি মণ্ডলের। তাদের নিষেধ অগ্রাহ্য করে প্রতিমা ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। সেই আক্রোশ থেকেই গত শুক্রবার নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাবা ধীরেন মণ্ডল। এর পরে বস্তায় ভরে মেয়ের দেহ নিয়ে মাঝগঙ্গায় ফেলে দেয় সে। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত ধীরেন মণ্ডলকে সাহায্য করে তার স্ত্রী সুমতি মণ্ডল। মৃতদেহ উদ্ধার করতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের নামানো হয়েছে।
নিজের মেয়েকে হত্যার পরে সাইকেলে করে তার বস্তাবন্দি দেহ শুক্রবার দুপুরে গঙ্গায় ফেলতে যায় অভিযুক্ত ধীরেন মণ্ডল। তখন তা চোখে পড়ে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার। এর পরেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই দম্পতির বাড়িতে হানা দেয়। তাদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় দু' জনকে আটক করে জেরা চালায় পুলিশ। এর পরেই মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করে দম্পতি। দু' জনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
এ দিন দু' জনকে আদালতে তুললে অভিযুক্ত ধীরেন মণ্ডলকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে অভিযুক্ত সুমতি মণ্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। দেহ লোপাটে সাহায্য করার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবককেও খুঁজছে পুলিশ।