হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন একজন। সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও বেশ কয়েকজনের। সুপারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রোগীর পরিবারে লোকেরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল বিক্ষোভও। ঘটনাস্থল, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে নয়া দিশা, এবার আদালতে শিবির করে লালারস সংগ্রহ স্বাস্থ্যদপ্তরের
রাজ্যের অন্য জায়গার মতো ক্যানিং-এও করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতালে খুলেছে প্রশাসন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালেও কি আক্রান্তদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে? রোগীর পরিজনদের দাবি, দিন চারেক আগে কোভিড হাসপাতালে দু'জনকে আনা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা তখন রীতিমতো আশঙ্কাজনক। তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি নেওয়া হয় আইসিইউতে। আপত্তি করেননি কেন? অন্য রোগীর পরিবারের লোকেরা আপত্তি করলেও, হাসপাতালে সুপার অর্ঘ্য চৌধুরী কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।
এদিকে যে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল, পরের দিন তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর ওই রোগীকে আইসিইউ-তে বের করা আনা হয়, কিন্তু, আইসিইউ বিভাগটি স্যানিটাইড করা হয়নি অভিযোগ। শেষপর্যন্ত আত্মীয়দের চাপে পড়ে সমস্ত রোগীদের লালারস পরীক্ষা জন্য় পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে শনিবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন এক রোগী মার যান। মৃত্যুর পর জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন! বস্তুত, আরও বেশ কয়েকজন রোগীর রিপোর্টও পজিটিভি এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে এবার সাপের আতঙ্ক, সতর্কবার্তা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর
শনিবার বিকেলে ক্য়ানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, সুপারের গাফিলতিতেই আইসিইউ-তে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ঘটনাস্থলে হাজির হয় ক্যানিং থানার পুলিশও। পুলিশের তৎপরতার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিযুক্ত সুপার।