হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে সারা দেশেই নানা রকম শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কোথাও জরিমানা, কোথাও আবার নিয়ে নেওয়া হয় লাইসেন্স। কোথাও আবার হেলমেট ছাড়া এলে পেট্রোল পাম্পে তেল দেওয়া মানা। বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট পরাতে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু হেলমেট নিয়ে এই কড়াকড়ির ফায়দা তুলছে একদল দুষ্কৃতী। অনেক সময়ই হলমেটের আড়ালে মুখ ঢেকে পেট্রোলপাম্প থেকে তেল নিয়ে দুষ্কর্ম করছে তারা। অবস্থার মোকাবিলায় পদক্ষেপ করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। পেট্রোলপাম্প থেকে তেল নেওয়ার সময় বাইক চালকদের হলমেট পড়ে থাকতে হলেও দাম মেটানোর সময় হাতে নিতে হবে হেলমেট। এতে পেট্রোল পাম্পে কারা এল তার যেমন হিসেব রাখা যাবে তেমনি চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।
নিজেদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই এই পন্থা অবলম্বন করছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইতিমধ্যে শহরের পেট্রোলপাম্পগুলিকে এবিষয়ে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শহরে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে সমস্ত ব্যাঙ্ক, সোনার দোকান, ঋণজানকারী সংস্থাগুলির কর্তাদের আমন্ত্রণ জানান হয় পুলিশের তরফে। শিলিগুড়ি শহরে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রোধে মানুষকে তৎপর করতে বাড়তি নজরদারির কথা বলেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। প্রতিটি এটিএমের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার কথাও বলা হয় পুলিশের তরফে।
শিলিগুড়ি পুলিশের দাবি গত আটমাসে শহরে তেমন কোনও বড় অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। যদিও গত মাসে একটি ঋনপ্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। অতিদ্রুত সেই ঘটনার কিনারা হবে বলেই আশা করছে পুলিশ মহল। এদিন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, "ঘটনার পর সচেতন হওয়ার চেয়ে আগেই সজাগ হওয়া ভাল।"