কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের আত্মহত্যার তত্ত্বেই শিলমোহর পড়ল। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এসেছে পুলিশের। যদিও সেই রিপোর্টকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: শুনসান দিনাজপুর, সংঘর্ষ কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারে - উত্তরবঙ্গে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির বনধে
মিশুকে স্বভাবের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এলাকায়। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের দলের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে বিজেপি। সোমবার সকালে বাড়ির কাছে বন্ধ দোকানের সামনে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। ঘটবার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বারো ঘণ্টার বনধ চলছে উত্তর দিনাজপুর-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে। এরইমধ্যে এদিন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরফে মৃত বিধায়কের ময়নাতদন্তে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
কী বলা হয়েছে রিপোর্ট? রিপোর্ট স্পষ্টভাবে লেখা আছে, ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে কারণে মারা গিয়েছে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। আত্মহত্যা করেছেন তিনি। শরীরের অন্য় কোথাও আর কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। বস্তুত, সোমবার মৃত বিধায়কের পকেট থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন খোদ উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। ফলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু বা খুনের জল্পনায় জল ঢেলে দিল মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বনধের সমর্থনে পিকেটিং, হেমতাবাদে 'পুলিশি হামলা'র মুখে বিজেপি সমর্থকরা
এদিন ময়নাতদন্তের পর রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল করে বিধায়কের দেহ আনা হয় জেলা বিজেপির সদর দপ্তরে। মিছিলে হাঁটেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ দলের অন্যন্য নেতারা। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক বলেন, 'পারিপার্শ্বিক ঘটনা ও মৃতদেহের অবস্থান দেখে এটা পরিস্কার, যে বিধায়ককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট জানতে পেরেছি ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে। আমরা এই রিপোর্টকে বিশ্বাস করছি না। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।'