সিপিএমের ডেপুটেশন কে ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লক অফিস চত্বর। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ করার দায়ে ৩৬ জনকে আটক করা হলো। পাশাপাশি পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত হল কমপক্ষে ২০জন। যার মধ্যে কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন," বিক্ষোভের জেরে গোটা গ্রামে যাতে কোন উত্তেজনা কিংবা সন্ত্রাস না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে রেপিড অ্যাকশন ফোর্স ও পুলিশ পিকেট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে"।
প্রসঙ্গত, এদিন ঘূর্ণিঝড় উমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে মুর্শিদাবাদের সিপিএমের নেতা কর্মীরা জলঙ্গি ব্লক এ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হয়। বিক্ষোভকারীরা ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এর ফলেই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
মুহুর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেই এলাকা।পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি থেকে শুরু হয়ে যায় ইটপাটকেল ছোড়া ভাঙচুর।এমনকি বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে তাক করে মুহুর্মুহু পাথর ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ।পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্শ্ববর্তী একাধিক থানা থেকে এক এক করে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে ঘিরে ফেলে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে হয়।
পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে পড়ে তারপর এই বিষয়ে সিপিএম কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যারিকেড। ডোমকল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ফারুক চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। উত্তেজনার আঁচ এসে পড়ে তার গাড়ি তে। এদিকে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন,তৃণমূলের লোকজন তাদের দুর্নীতির চাপা দিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে আমাদের কর্মীদের বেধড়ক পেটানো হয়েছে বহুজন এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না"।