হাওড়ার হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতর ৭০। সদ্য বদল হয় হাওড়া শহর ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ।এরপরেই পুলিশি তৎপরতা রাতারাতি বাড়ল। আমতা , ডোমজুড়, জগাছা থেকে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাওড়ার হিংসাকাণ্ডে গ্রেফতর ৭০। সদ্য বদল হয় হাওড়া শহর ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ।এরপরেই পুলিশি তৎপরতা রাতারাতি বাড়ল। আমতা , ডোমজুড়, জগাছা থেকে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দাঙ্গা বাধানো , সম্পত্তি নষ্ট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।পাঁচলা থেকে ২২ জন, সাকড়াইল থেকে ১৮ জন,ডোমজুড় থেকে ৫ এবং উলুবেড়িয়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মূলত উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জের এবার উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে বাংলায়। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আবেদনে সাঁড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। ফের রাস্তা, রেল অবরোধ করতেই আমজনতদের দুর্ভোগ বাড়ে। এরপরেই এদিন টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় টুইট করে বলেছেন, 'আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে। এবং তাঁরা দাঙ্গা করাতে চায়। কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ ? ' বলে প্রশ্ন ছুড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এদিকে হাওড়াতেও সেই প্রভাব এসে পড়েছে।তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতিমধ্যেই উলুবেরিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্য়ে হাওড়ায় অশান্তিতে জড়িত থাকার অপরাধে এদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে হাওড়া পুলিশে বড়সড় রদ বদল করেছে নবান্ন। প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাতী ভঙ্গলিয়াকে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার করা হয়েছে। প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী এতদিন ছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনার সিপি। অন্যদিকে কমিশনারেটের সিপি-র দায়িত্বে এতদিন ছিলেন সি সুধাকর। তাঁকে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি করা হয়েছে। অন্যদিকে এতদিন হাওড়া গ্রামীণের এসপি ছিলেন সৌম্য রায়। তাঁকে কলকাতা পুলিশের ডিএসপি সাউথ ওয়েস্ট করা হয়েছে। মূলত স্বাতী ভঙ্গলিয়া ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসিপি সাউথ। শনিবারই বদল হয় হাওড়া শহর ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ। আর তারপরেই অভিযুক্তদের এখের পর এক গ্রেফতার করা হয়েছে।