সংক্ষিপ্ত
রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি, হাওড়ার দুই গৃহবধূকেই ফিরিয়ে এনেছে নিশ্চিন্দি থানার পুলিশ। কিন্তু কীভাবে এই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা, নিশ্চিন্দি থানার পুলিশকে জেরায় সব জানালেন ওই দুই গৃহবধূ।
রাজমিস্ত্রিদের (Howrah Masons ) সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি। হাওড়ার দুই গৃহবধূকেই ফিরিয়ে এনেছে নিশ্চিন্দি থানার পুলিশ। জানা যায়, হাওড়ার ওই দুই গৃহবধূ বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে (Extramarital affairs)জড়িয়ে পড়েন। ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন তাঁরা। মুম্বই থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফেরার পথে আসানসোল স্টেশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কীভাবে এই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা, নিশ্চিন্দি থানার পুলিশকে জেরায় সব জানালেন ওই দুই গৃহবধূ।
১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই নিখোঁজ হন হাওড়ার নিশ্চিন্দি থানা এলাকার বাসিন্দা অনোন্যা কর্মকার এবং ৭ বছরের ছেলে সহ রিয়া কর্মকার। এরপরেই তাঁদের খোঁজা শুরু করে নিশ্চিন্দি থানার পুলিশ। বুধবার আসানসোল স্টেশন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় উঠে আসে, রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের সঙ্গে অনোন্যার প্রেমের সম্পর্ক। এবং জা রিয়া বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়ান শুভজিৎ দাশের সঙ্গে সম্পর্কে । কিন্তু কী কারণে এই পরকীয়ায় জড়ালেই আচমকাই, পুলিশকে সব জানিয়েছেন দুই গৃহবধূ।অনোন্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আট বছর বিয়ে হলেও তার কোনও সন্তান হয়নি। কর্মজীবনে ব্যস্ত স্বামী তাঁকে বেশি সময়ও দিতে পারতেন না কখনও। এক ঘেয়েমি আর একাকিত্ব ঘিরে ধরছিল তাঁকে ক্রমশ। পাশাপাশি একই পথের পথিক রিয়াও। তার ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে পারেন না বলেই তারও মনে একঘেয়েমী এসে গিয়েছিল। এমনই এক সন্ধিক্ষণে তাঁদের জীবনে আসে এই দুই রাজমিস্ত্রি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ চালাকালীন জানা যায়, ৬ মাস আগে একতলা বাড়ি সংস্কারের কাজ করতে এসেছিলেন দুই রাজমিস্ত্রি। তাঁদের দু’জনকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে যায় নিশ্চিন্দা আনন্দ নগরের দুই গৃহবধূ রিয়া এবং অনন্যা কর্মকারের। দুই রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখরকে তাঁদের পছন্দ হয়ে যায়। প্রথমে আলাপ এবং তারপরে মোবাইল নম্বর বিনিময় হয় হতে সময় লাগে না। অনোন্য়া এবং রিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, এই দুই রাজমিস্ত্রি খুবই মিষ্টভাষী। এবং সকলের সঙ্গে কথা বলেন। তাই খুব দ্রুতই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। অবশেষে দুই গৃহবধূ দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার দিন থেকেই সুইচ অফ ছিল অনন্যা ও রিয়ার মোবাইল। দুই গৃহবধূর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই তদন্তে সাফল্য পায় পুলিশ।