হাত জোড় করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা বলে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যে চলমান ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সোমবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীসহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই তিনি বলেন 'আমরা রক্তে ভেজা বাংলা চাই না। বাংলার মাটিতে হিংসার কোনও স্থান নেই।' কথা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল রবি ঠাকুরের কবিতাও টেনে আনেন। তিনি বলেন কবিগুলি বলেছিলেন 'চিত্ত যেথা ভয় শূণ্যে উচ্চ যেথা শির।' কবিতার এই লাইনটির পরেই রাজ্যপাল বলেন, তিনি জানেন এই রাজ্যে কারও মনই ভয়মুক্ত নয়।
'one nation one ration card' দ্রুত চালু হবে রাজ্যে, তেমনই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতার ...
এদিন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বৈঠকের পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি বলেন, শুভেন্দু ও তাঁর সহযোগীরা প্রতিপক্ষ বিরোধী আইন, তিলজলা, চন্দননগর ঘটনাবলীসহ চারটি বিষয়ে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ায় রাজ্যে অ্যান্টি-ডিফেকশন আইন পুরোপুরি প্রয়োগ করার কথা বলেন। এটি অন্যান্য অঞ্চলের মতই এই রাজ্যে প্রযোজ্য। তারপরই রাজ্যপাল বলেন রাজ্যের গণতন্ত্র নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। প্রশাসন আগুন নিয়ে খেলছে। মানুষের দুর্দশা দেখে তাঁর চোখের জল শুকিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন জগদীপ ধনকড়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন'রাজত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন, তবে গণতন্ত্র মেনে চলুন।' তারপরই শুভেন্দুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের রাজ্যপাল আপনাদের হতাশ করবে না। ভারতের সংবিধান মেনে যা যা করণীয় সবই তিনি করবেন। সংবিধানের বাইরে গিয়ে যাঁরা কাজ করে তিনি তাঁদের বিরোধিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
৬ বছরের নাতির সমানে ধর্ষিতা ঠাকুমা, ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়াবহতা এবার সুপ্রিম কোর্টে ...
একই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করে বলেন, গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সরকারি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে। বাংলার আগুনকে জ্বলতে দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
বৌদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, 'প্রেমের কাঁটা' সরাতে দাদাকে খুন স্কুল মাস্টার ভাইয়ের ...
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ক্রমশই উষ্মা প্রকাশ করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোটের পরপরই তিনি কোচবিহার থেকে নন্দীগ্রাম একাধিক বিধানসভা এলাকা ঘুরে দেখেছেন। কথা বলেছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে। যদিও তাঁকে নিশানা করতে পিছপা হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। কখনও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো কখনও মহুয়া মৈত্র। একের পর এক তৃণমূল নেতা নেত্রী রাজ্যপালকে নিশানা করেই চলেছেন। মহুয়া মৈত্র রাজ্যপালকে আঙ্কেলজি বলে খোঁচাও দিয়েছেন। সেখানে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগও তুলেছেন। তবে রাজ্যপাল যে তাঁর অবস্থান বজায় রাখছেন তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দেন।