'এক দেশ এক রেশন কার্ড' বা 'one nation one ration card' প্রকল্প নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন এটি বাস্তবায়ন করার জন্য সমস্ত রকম প্রক্রিয়া চলছে। সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবিলম্বে এই প্রকল্পটি গ্রাহকদের সহয়তার জন্য লাগু করতে নির্দেশ দিয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর সরকারের কোনও সমস্যা নেই।
বৌদির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, 'প্রেমের কাঁটা' সরাতে দাদাকে খুন স্কুল মাস্টার ভাইয়ের ...
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে নতুন কোনও রেশনকার্ড ছাড়াই দেশের যেকোনও স্থান থেকে গ্রাহকরা ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে খাদ্য শস্য পাবেন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের মাধ্যমেয়ই এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ এই প্রকল্পটি চালু করতে টালবাহানা করছে রাজ্য সরকার।
G-7 দেশগুলির স্বাভাবিক বন্ধু ভারত, হিংসা আর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় প্রথম সারিতে রয়েছে বললেন মোদী ...
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এটি দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল এই প্রকল্পের মাধ্যমে অভিবাসী বা পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকেও ভর্তুকি দিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে পারবে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল আধার দিয়ে রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাবার সংগ্রহ করা যেতে পারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়ই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল কোনও অজুহাত চলবে না। অবিলম্বে এই প্রকল্পটি রাজ্যে চালু করতে হবে। বর্তমানে এই প্রকল্পটি ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে কার্যকর করা হয়েছে। রবিশঙ্কর প্রসাদ আগেই জানিয়েছিলেন অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি -এই তিনটি রাজ্যে এই প্রকল্প এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাল-ডালের মত ভর্তুকিযুক্ত খাবারগুলি অভিবাসী ও অসংগঠিত শ্রমিকদের দেওয়া হবে। তাদের কাছে রেশনকার্ড না থাকলেও তা দেওয়া হবে বলে মে মাসেই জানিয়েছিলেন।
৬ বছরের নাতির সমানে ধর্ষিতা ঠাকুমা, ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়াবহতা এবার সুপ্রিম কোর্টে
তবে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য হল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে অবিলম্বে এই প্রকল্প চালু করতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অভিবাসী বা পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্যান্য রাজ্য থেকে অর্থাৎ তাঁদের কাজের জায়গা থেকে রেশন তুলতে পারবেন। অসংগঠিত শ্রমিকদের ডেটাবেস তৈরির ওপরেও জোর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।