রাজভবনে ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং করোনা টিকা দুর্নীতিকরণ নিয়ে আলোচনা করেন বিজেপি বিধায়কেরা। এরই সঙ্গে উঠে আসে রাজ্যে দলত্যাগী বিরোধী আইন কার্যকর করার বিষয়েও আলোচনা করা হয় এদিন।
এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এদিন তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে ত্রাস তৈরি করেছে। রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের ওপর হিংসা ক্রমশ বাড়ছে। অথচ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না তৃণমূল সরকার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে তিনি বলেন তৃণমূল ব্যক্তিকেন্দ্রীক দল। বিজেপি নয়। তৃণমূল রাজ্যে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে, তা নিন্দনীয়।
রাজ্যে চলা সন্ত্রাসের অভিযোগ কেন্দ্রের কাছে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন রাজ্যপালের কাছেও এদিন বিজেপির বিধায়করা ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। এছাড়াও দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর করা নিয়ে কথা হয়েছে রাজ্যপাল ধনকড়ের সাথে। যদি রাজ্য এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে না চায়, তবে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবে বিজেপি।
আরও পড়ুন - লাগবে মাস্ক-স্যানিটাইজার, নতুন নিয়ম মেনে বুধবার থেকে খুলছে তারাপীঠ মন্দির
প্রসঙ্গত এর আগেও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই শুভেন্দুকে তলব করে কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব। গত সপ্তাহের সোমবার দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শিশির পুত্র। শাহ-র বাসভবনে প্রায় ১৫ মিনিট বৈঠক চলে। সেখানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়। এবং এর পরেই মোদীর সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। সেখানেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং ৩৫৬ ধরা প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর ফের শাহ-সাক্ষাতের পর বঙ্গে ফেরেন শিশির পুত্র।