ঘটনার সূত্রপাত বিজেপি বিধায়কদের পাঞ্চি পরে বিধানসভায় আসাকে কেন্দ্রকরে। পাঞ্চি হল একটি হলুদ রঙের কাপড়। যেখানে আদিবাসীদের সংস্কৃতি মেনে তৈরি হয় সুতোর নকসা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিধিভঙ্গ করেছে এই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। এই অভিযোগ নিয়েই নির্বাচন কমিশেনর দ্বারস্থ হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের দাবি নির্বাচন কেন্দ্র কোনওভাবেই নিরপেক্ষ রাখতে দিচ্ছে না বিজেপি। পাল্টা বিজেপি জানিয়েছে ক্রস ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণে আতঙ্কে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
যাইহোক ঘটনার সূত্রপাত বিজেপি বিধায়কদের পাঞ্চি পরে বিধানসভায় আসাকে কেন্দ্রকরে। পাঞ্চি হল একটি হলুদ রঙের কাপড়। যেখানে আদিবাসীদের সংস্কৃতি মেনে তৈরি হয় সুতোর নকসা। যা মাথায় পরলে নাম হয় পাঞ্চি দেড়ি, ধুতির মত করে পরলে নাম হয় পাঞ্চি দেঙ্গা। আদিবাসী সম্প্রদায় যেকোনও শুভকাজেই এই জাতীয় কাপড় ব্যবহার করে। কিন্তু এদিন বিজেপি ৭৯ জন বিধায়কই পাঞ্চি পরে ভোট দেন। কেউ মাথায় পরেছেন। কেউ আবার গলায় ঝুলিয়েছেন। মোটের ওপর বিধায়করাতো বটের পোলিং এজেন্টরাও পাঞ্চি পরেছিলেন। যা নিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ফোন করে একপ্রস্থ নালিশ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। বিষয়টি নিয়েসরব হয়েছেন শশী পাঁজাও। চন্দ্রিমা বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে কোনও রকম প্রতীক ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়করা সকলেই আদিবাসী পাঞ্চি পরে ভোট দিলেন। পাশাপাশি বিজেপির পোলিং এজেন্টদেরও গলায় ছিল পাঞ্চি। যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। তিনি আরও বলেছেন পাঞ্চি ভোটের কোনও সিম্বল নয়। কিন্তু এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যে সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এটা তারই প্রতীক। তাই পাঞ্চি পরা নিয়ম বহির্ভূত বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। আর সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চন্দ্রিমা।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন ক্রস ভোটিংএর ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই এজাতীয় অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ও প্রতিনিধিদের সম্মান জানিয়েই বিজেপি বিধায়করা পাঞ্চি পরে ভোট দিয়েছে।