শিশুপাচারে জড়িত খোদ স্কুলের অধ্যক্ষ, গ্রেফতার একাধিক শিক্ষকও

আজ ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অধ্যক্ষ সহ তিন জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকি পাঁচ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2021 12:02 PM IST / Updated: Jul 19 2021, 05:53 PM IST

স্কুলের অধ্যক্ষই নাকি শিশুপাচারকারী। এমনই অভিযোগ উঠেছে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়ার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকার। ওই অধ্যক্ষ সহ স্কুলের আরও ৮জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। 

আরও পড়ুন- ভবানীপুরের টিকাকেন্দ্রে হঠাৎ হাজির মমতা, ভ্যাকসিন গ্রাহকদের সঙ্গে কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী

অভিযোগ, গতকাল বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় দুই শিশুকে জোর করে একটি মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা করছিলেন কমল কুমার রাজোরিয়া। ঘটনাটি স্থানীয়দের নজরে আসে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গাড়িটিকে ঘিরে রাখেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে ছুটে নিজের কোয়ার্টারে পালিয়ে যান কমল কুমার রাজোরিয়া। স্থানীয়রা ওই মারুতি ভ্যান থেকে দুই শিশু ও দুই মহিলাকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়।

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর দুই মহিলা, দুই শিশু ও কমল কুমার রাজোরিয়াকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশের সামনে আসে শিশু পাচারচক্রের বিষয়টি। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের দু একটি এলাকা থেকে শিশুদের কিনে এনে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করার পরিকল্পনা ছিল অধ্যক্ষর। এজন্য ওই শিশুদের মাকে দেওয়া হয়েছিল লক্ষাধিক টাকাও। সপ্তাহ খানেক আগে এই ভাবেই ৯ মাসের এক শিশুকে দুর্গাপুরের একটি এলাকা থেকে স্কুলেরই এক নিঃসন্তান শিক্ষিকাকে বিক্রি করেছিলেন। বাকি দুই শিশুকেও একইভাবে বিক্রি করার জন্য সম্প্রতি নিজের কোয়ার্টারে এনে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরে এই শিশুগুলিকে কোয়ার্টার চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়েছিল। এরপর গতকাল তাদের গাড়িতে তোলার সময় বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয়রা। 

আরও পড়ুন- কলাগাছের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও হেরোইন লুকিয়ে পাচারের ছক, ফাঁস করল বিএসএফ

পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রির জন্য ওই শিশুপাচার চক্রের জাল তৈরি করা হয়েছিল। তবে এই জাল কতদূর বিস্তার করেছে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে এসেছে শিশু পাচারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।  

আরও পড়ুন- মন ভালো নেই খাদ্যরসিকদের, দামের ছ্যাঁকায় পোস্তর স্বাদ ভুলতে বসেছেন অনেকেই

আজ ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অধ্যক্ষ সহ তিন জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকি পাঁচ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।  ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য সামনে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

Share this article
click me!