সংক্ষিপ্ত
খুচরো বাজারে ২ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পোস্তর দাম। তবে এই দামের জন্য অনেকাংশে কেন্দ্রের নীতিকে দায়ি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
পোস্তর বড়া, আলু পোস্ত বা ঝিঙে পোস্ত হরেকরকম সুস্বাদু পদ হয় এই পোস্ত দিয়ে। আবার কখনও মাছের ঝাল বা মাংসেও দেওয়া হয় পোস্ত বাটা। পোস্ত ছাড়া বাঙালি যেন কিছুতেই ভাবতে পারে না। ভিন রাজ্য হোক বা দেশ সব জায়গাতেই পোস্ত তাদের চাই। কিন্তু, পোস্তর দাম এখন এতটাই বেশি যে তার স্বাদ প্রায় ভুলতেই বসেছেন অনেকেই। খুচরো বাজারে ২ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পোস্তর দাম। তবে এই দামের জন্য অনেকাংশে কেন্দ্রের নীতিকে দায়ি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন- ফোনে মেসেজ এলেও মিলছে না টিকা, 'ইচ্ছা মতো' লিস্ট বানিয়ে সল্টলেকে চলছে টিকাকরণ
বাঙালি বাড়িতে পোস্ত ছাড়া যেন কিছু ভাবাই যায় না। বাড়িতে আত্মীয় আসুক, রবিবার ভাতের পাতে জমিয়ে পোস্ত খান অনেকেই। তবে এখন পোস্ত বিলাসিতার সমান। কয়েক মাস আগের কথা তখন বাজারে পোস্তর দাম ছিল ১৪০০ টাকা। কিন্তু, তিন মাসের মধ্যেই চড়িয়ে বেড়েছে সেই দাম। খুচরো বাজারে এর দাম ২ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখন অনেক ক্রেতাই পোস্ত খাওয়া প্রায় ভুলতেই বসেছেন। যদিও পোস্তর দাম বাড়ার পিছনে কেন্দ্রের নীতিকে দায়ি করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন- কলাগাছের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও হেরোইন লুকিয়ে পাচারের ছক, ফাঁস করল বিএসএফ
পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। তেলের দাম বাড়ার ফলে অ্যাপ ক্যাবগুলির ভাড়াও অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনেক দিন আগেই কলকাতায় ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। কয়েক মাস আগেও যে পোস্তর দাম ১৪০০ টাকা ছিল তা এখন বেড়ে ২ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন আমজনতা। বাজার থেকে পোস্ত কিনতে এখন ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের আশঙ্কা, এর মধ্যে আবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লে সমস্যা আরও বাড়বে। ফলে ক্রেতাদের অনেকেই মনে করেন, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে বাজারের ফর্দ থেকে পোস্তর নামটা বাদ পড়ায় মন ভালো নেই বহু খাদ্যরসিকের।