বাঁকুড়ার কুচকুচিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা উষা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের বাড়িতে একমাত্র মেয়ে কৃষ্ণাকে নিয়ে থাকতেন।
এবার রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া বাঁকুড়ায়। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। মেয়েই ছিল একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু, মেয়েরও মৃত্যু হওয়ায় তা মেনে নিতে পারেননি বৃদ্ধা। আর সেই কারণেই মেয়ের মৃতদেহ কাছ ছাড়া করতে চাননি তিনি। সেই মৃতদেহ আগলে রেখেই চলছিল তাঁর দিনযাপন। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্থানীয়রা। অবশেষে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পর বৃদ্ধার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। তখনই উদ্ধার করা হয় দেহ।
বাঁকুড়ার কুচকুচিয়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা উষা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের বাড়িতে একমাত্র মেয়ে কৃষ্ণাকে নিয়ে থাকতেন। স্থানীয়দের কথায়, বেশ কিছুদিন উষাকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু, কৃষ্ণাকে দেখতে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। তাই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল এলাকাবাসীর মনে। সন্দেহ হওয়ায় দু-একজন উষাকে মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন।
আরও পড়ুন- দূরত্ব কি আরও বাড়ল, রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়কের দফতরে ঢাকা হল দেবশ্রীর ছবি
স্থানীয়দের দাবি, জিজ্ঞাসা করলে উষা জানিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে অসুস্থ। এদিকে আজ সকালে তাঁর এক আত্মীয়র সূত্রে বিষয়টি জানাজানি হয় এলাকায়। এরপর কিছুটা জোর করেই উষার বাড়িতে প্রবেশ করেন স্থানীয়রা। ঘরের মধ্যে ঢুকেই তাঁদের চোখ কপালে ওঠার জোগার হয়। দেখেন, খাটের উপর পড়ে রয়েছে কৃষ্ণার পচাগলা মৃতদেহ। আর তা আগলেই দিনযাপন করছেন উষা।
আরও পড়ুন- ১৫ দিন বন্ধ রাখা হবে মা উড়ালপুল, দিনে ৬ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে যান চলাচল
এরপর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রাই বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ধারণা, বেশ কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি উষা। আর সেই কারণেই মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ফলে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে জানলেও তা আগলে রেখেই দিনযাপন করছিলেন।
আরও পড়ুন- এবার 'দাদাগিরি' সিলভার স্ক্রিনে, লাভ ফিল্মের প্রযোজনায় আসছে সৌরভের বায়োপিক
তবে কীভাবে কৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি কৃষ্ণা ও উষা সম্পর্কে স্থানীয়দের থেকেও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।