ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ। তারাই নিত্যযাত্রীদের বুঝিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
গতকালেই বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টায় বনধে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে দফায় দফায় রেল অবরোধ দেখতে পাওয়া যায়। যে কারণে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এবার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেই সেই একইচিত্র। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির আপাত অর্থে কোনও যোগ নেই। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার দক্ষিণ পূর্ব শাখার নলপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ৬ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয় অবরোধ। পূর্ববর্তী সময়ে অনুসারে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে চলছে অবরোধ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ। তারাই নিত্যযাত্রীদের বুঝিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এদিকে প্রায় গত দুছর ধরেই করোনা মহামারির জেরে রেল চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
দফায় দফায় বন্ধ হয়েছে রেল পরিষেবা। এমনকী করোনার প্রকোপ কমতে বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও আগের অবস্থা যে ফিরে আসেনি তা বলাই বাহুল্য। এখনও সিংহভাগ জায়গাতেই ট্রেন চলছে অনিয়মিত। চলছে স্টাফ স্পেশ্যাল। যা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। এমনকি একাধিক স্টেশনে এর আগে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন নিত্যাত্রীরা। তারপরেও বদলায় চিত্র। নলপুরের যাত্রীদের অভিযোগ অনিয়মিত ট্রেন চলার কারণে সমস্যায় পড়ছেন তারা। ছাপ পড়ছে তাদের নিত্যদিনের কাজে। তাই অবিলম্বে রেলকে পূর্ববর্তী সূচি অনুযায়ীই ট্রেন চালাতে হবে। এদিকে একই দাবিতেগত বুধবার বর্ধমানের হাওড়া-বর্ধমানের কর্ড শাকার শক্তিগড় স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা।স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়া–বর্ধমান কর্ড শাখায় আপ লোকাল ট্রেন রোজই ঘণ্টাখানেক দেরিতে চলে। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল যাত্রীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
এমনকী নিত্যযাত্রীদের এও অভিযোগ, করোনা সমস্যার জন্য নয়, বরাবরাই এই শাখায় লেটে ট্রেন চলার রেকর্ড রয়েছে। এমনকী অন্যান্য শাখার তুলনায় এই শাখায় ট্রেনের সংখ্যাও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এমনকী রেল কর্মকর্তাদের বারবার এই বিষয়ে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বুধবার প্রতিবাদে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান নিত্যযাত্রীরা। এই এই অবরোধের জেরে ওই দিন কয়েকটি ট্রেন মাঝপথেই দাঁড়িয়ে পড়ে। রেল অবরোধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিক্ষোভস্থলে যান পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তারাই নিত্যযাত্রীদের সময়ে ট্রেন চলার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। যদিও এদিন কার্যত যাত্রী বিক্ষোভের একইচিত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে নলপুরে। তবে রেলের আধিকারিকেরা এখনও সেখানে গিয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি।