লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে আজ ফের সোনারপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। গতকালের পর আজ ফের লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেল অববোধ করলেন তাঁরা। আজ সকাল থেকেই মহিলা যাত্রীদের নেতৃত্বে অবরোধ শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে শপিং মল, রেস্তরাঁ খোলা হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কেন লোকাল ট্রেন চালু হল না এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- আজ থেকে খুলে গেল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মায়ের মন্দির, পুজোতে ফুল-সিঁদুর নিষিদ্ধ
আজ সকাল ৭টা থেকে সোনারপুর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। আটকে পড়েছিল স্টাফ স্পেশাল আপ ক্যানিং লোকাল। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে অবরোধকারীদের। এর এক ঘণ্টা পর লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। কিন্তু, তারপরই বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর ও ক্যানিং শাখার বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। মল্লিকপুরে জিআরপিকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন অবরোধকারীদের।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণের উপর রাশ টানতে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ১ জুলাই পর্যন্ত সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময় বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। বর্তমানে বিভিন্ন শাখায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। তবে, সেই ট্রেনে সাধারণ নিত্যযাত্রীদের ওঠার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এই ট্রেনে রেলকর্মী, ব্যাঙ্ককর্মী ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই ট্রেনে চড়তে পারবেন।
গতকালও লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করা হয়েছিল সোনারপুর স্টেশনে। এর ফলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা লাইনে আপ ও ডাউন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এদিকে রেল অবরোধের জেরে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। বিঘ্নিত হয়েছিল স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা।
লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে কয়েকদিন আগেই চিঠি দিয়েছিল পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে কী ভাবছে সরকার? এছাড়া চিঠিতে আরও লেখা হয় যে, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে ভিড় বাড়ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। তবে রেলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, লোকাল ট্রেন পরিষেবা কবে চালু হবে সে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।