সাপের ও শ্বেতি হয় ! সম্প্রতি একটি শাঁখামুটি সাপ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন ব্যান্ডেল মেরি পার্ক- এর বাসিন্দা চন্দন ক্লেমেন্ট সিং। সাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা করেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় সাপ ধরতে তাঁকে ডাকা হয়। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পেশাদারি কায়দায় তিনি সাপ ধরেন। শুধু ধরেনই না তারা আহত হলে বাড়িতেই পরিচর্যা করে সুস্থ করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
সম্প্রতি তিনি ব্যান্ডেলে সরস্বতী নদীর ধার থেকে একটি শাঁখামুটি সাপ উদ্ধার করেন। দেখা যায় ওই সাপটির দেহগত অনেক পরিবর্তন আছে। সাধারণত এই প্রজাতির সাপের গায়ে হলুদের ওপর কালো দাগ হয় কিন্তু এই সাপটির ক্ষেত্রে দেখা যায় হলুদের সঙ্গে সাদা ছোপ রয়েছে। কিন্তু কেন এরকম বৈচিত্র্য? সাপ নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা চন্দনের। তাঁর মতে এটা জিনগত সমস্যা। তিনি দাবি করেন, সাপটি শ্বেতি রোগে আক্রান্ত। ওই সর্প বিশেষজ্ঞের দাবি, শুধু গায়ের রংই নয়, সাপটির জিভ আর চোখেও সমস্যা আছে।
সম্প্রতি একদিন সকালে চন্দন ব্যান্ডেল থেকে বাইকে করে পোলবা যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে সরস্বতী নদীর ধারে তিনি লক্ষ্য করেন ফাঁদি জালে একটি সাপ আটকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে নেমে সাপটিকে উদ্ধার করেন। দেখা যায় সাপটির দেহে বিভিন্ন জায়গায় কেটে গিয়েছে। সেই সাপটিকে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন।
চন্দনের কথায়, 'বাড়ি এসে গভীর ভাবে সাপটিকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝলাম সাপটি শ্বেতি রোগে আক্রান্ত। এটি বিরল প্রজাতির সাপ। যেটুকু জানি তা থেকে আমার মনে হয়েছে এই সাপটি অ্যালবিনো ব্যান্ডেড ক্রেইট প্রজাতির।'
কিন্তু কালোর বদলে সাদা রং কেন ? চন্দন জানান, শরীরের রঞ্জক পদার্থের গন্ডগোলের জন্যই সম্ভবত সাপটির দেহে কালোর বদলে সাদা রংয়ের আধিপত্য বেশি। এই সাপটির চোখ দু'টিও লাল। এছাড়াও তার জিভের সামনের অংশ গোলাপি আর তার পরে সাদা। সাধারণত সাপের জিভ হয় কালো। এই জিনগত পরিবর্তনের জন্য সাপটির আচরণেও তারতম্য ঘটেছে। স্বাভাবিকের তুলনা. বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে সে। পাঁচ ফুটের সাপটি আপাতত পরিচর্যায় আছে চন্দনের বাড়িতে। গভীর স্নেহে তার ক্ষতগুলি সারিয়ে দ্রুত সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে চন্দন।