বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু, বর্ষপূর্তিতে গ্রামে শ্রাদ্ধের আয়োজন স্থানীয়দের

  • আলুর ক্ষেতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিদের মৃত্যু
  • এক বছর আগে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল গ্রামে
  • হাতিদের আত্মার শান্তি কামনা করলেন স্থানীয়রা
  • চাষের জমিতে হল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 9, 2020 2:20 PM IST

ফসলের ক্ষতি হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু আলুর ক্ষেতে নেমে দুটি হাতির বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারেননি গ্রামবাসীরা। রবিবার, সেই ঘটনার বর্ষপূতিতে অবলা প্রাণীদের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করলেন তাঁরা। পশ্চিম মেদিনীপুর নেপুরা গ্রামের ঘটনা। 

আরও পড়ুন: গভীর রাতে গ্রামে হাতির হানা, ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ একই পরিবারের তিনজন

২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি। তখনও ভোরের আলো ফুটেনি। মেদিনীপুর সদর ব্লকের নেপুরা গ্রামে ঢুকে পড়ে দুই পূর্ণবয়ষ্ক দাঁতাল হাতি। খিদের জ্বালায় গ্রামের আলুর ক্ষেতে নেমে পড়ে একটি হাতি। আর সেটাই কাল হয়।  আলুর ক্ষেতে ঝুলছিল বিদ্যুতের হাইটেনশন তার। জমিতে নামামাত্র সেই তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় হাতিটি।  আর্তনাদ শুনে সঙ্গীকে বাঁচাতে যায় অন্য হাতিটি। শেষপর্যন্ত বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে মারা দুটি হাতি-ই।  এদিকে ভোররাতে হাতিদের চিৎকার শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে জমিতে বিদ্যুতের ঝলকানি দেখে তাঁরা বুঝে যান, অবলা প্রাণীগুলি বিপদে পড়েছে। বেলা বাড়তেই জমিতে হাতি দুটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে বিদ্যুৎ দপ্তরের ভুমিকা নিয়েও। ঘটনার পর নেপুরা গ্রামে হাতিপুজো আয়োজন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। এক বছর পর পূর্ণিমা তিথিতে ফের হাতিদের শ্রদ্ধা হল গ্রামে। নেপুরা গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, 'হাতিদের আত্মার শান্তি করলাম। হস্তিদেবতা কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন ফসলের আর ক্ষতি না হয়।'

স্রেফ মেদিনীপুরেই নয়, এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে হাতির আনাগোনা নতুন নয়।  হাতির তাণ্ডবে ফসলের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।  দিন কয়েক আগে  ঝাড়খণ্ড থেকে এ রাজ্যে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়ে একটি হাতি।  পায়ে ও শুড়ে গভীর ক্ষত নিয়ে সে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ঝাড়গ্রামে জামবনির বিভিন্ন প্রান্তে। ঘটনাটি নজরে পড়তেই বনদপ্তরের খবর দেন গ্রামবাসীরা। শেষপর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলিতে ঘায়েল করে হাতিটি চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান বনকর্মীরা। 

Share this article
click me!