চলতি অর্থবর্ষেই অর্থাৎ পুজোর আগে এবং পুজোর পরে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার রেশ ধরেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে একধাপ এগোল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় পর্ষদ সভাপতির। সেইখানে ঠিক হয়, পুজোর আগে সম্পূর্ণ হবে ১০৫০০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য্য জানান "আমরা নিশ্চিত করছি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুজোর আগে অর্থাৎ অক্টোবরের শুরু, সেপ্টেম্বরের শেষের মধ্যে নিয়োগ পক্রিয়া শেষ করা হবে।" নির্বাচনের আগে ৫৬৫৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ৫১৪৬ জন কাজে যোগদান করেছে। তাদের বাদে এখন যে ১০৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হবে ছয়ই জুলাই তাদের কাউন্সেলিংয়ের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদ এদিন জানিয়েছে কাউন্সিলিং শেষের পর নিজ জেলা ভিত্তিক যে সূচি সেটা তৈরি করা হবে এবং তারপরই জয়েনিং লেটার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার যে ৩১৫০০ জন টেট পাশ করেছিলেন এবং যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে এই নিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও এই বছরে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল, পুজোর আগেই তার রেজাল্ট বেরোবে বলেও জানান তিনি।
এই বছরের জানুয়ারি মাসে আড়াই লক্ষ পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে রেজাল্ট বেরোনোর আগে পরীক্ষার উত্তর ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে যাতে পর্ষদের স্বচ্ছতা প্রকাশ পায়। এটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সংযোজন বলে জানান পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচর্য্য।
এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা জানান, পুজোর আগে নেওয়া হবে ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক এবং ১০ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক। পুজোর পর মার্চের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। মোট ৩২ হাজার নিয়োগপত্র দেবে রাজ্য সরকার।' তিনি আরও বলেন মেধাই পরিচয়। লবি করার প্রয়োজন নেই। যাঁরা পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাঁরাই চাকরি পাওয়ার অধিকারী। আদালতে মামলা ছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।'