আসানসোলে তৃণমূলের শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে অগ্নিমিত্রা পালকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্রে লড়বেন সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়।
উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। রবিবারই আসানসোলে (Asansol) পৌঁছেছেন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলের বিজেপি সাংসদ পদ ছেড়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেই কারণেই সেখানে ফের ভোট করাতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এবারের লড়াইয়ে আসনসোলে মমতার প্রথম পছন্দ শত্রুঘ্নই। এদিকে আসানসোলে পৌঁছানোর পরেই শত্রুঘ্নর মনোনয়ন জমার তোড়জোড় শুরু হয় পুরোদমে। এদিন আসানসোলে লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে হুড খোলা গাড়ি নিয়ে সকালেই জেলাশাসকের দফতরের দিকে রওনা দেন তিনি। সেখানে ভোটে লড়াইয়ের জন্য এলাকার কর্মী সমর্থকেরা শত্রুঘ্নকে সাদারে অভ্যর্থনাও জানান। তাদের মধ্যেও দেখা যায় ব্যাপক উছ্বাস। তাদরপর তাদের সঙ্গে নিয়েই জমাদেন মনোনয়ন পত্র। এদিকে আসানসোলে তৃণমূলের শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে অগ্নিমিত্রা পালকে দাঁড় করিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্রে লড়বেন সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়।
এদিন মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের সামনে দলীয় কর্মীদের ভিড় জমে ওঠে। গোটা শহরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। চলতে থাকে স্লোগানিং। এদিন শত্রুঘ্নর সঙ্গে ছিলেন দলের লোকসভা সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। এদিন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “বিজেপি এবার হারবে। ১৮টা এমপি দিয়েছিল ২০১৯ সালে। নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবাংলায় কিচ্ছু দেয়নি। দুটো হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী ছাড়া বাংলা কিছু পায়নি। বাংলার মানুষ ভুলে গিয়েছে। ২০২১ সালেও ও অনেক কিছু বলেছিল। ইসকি বার ২০০ পার। ৭০ ভি নাহি পার হুয়া। এবার বাংলায় তৃণমূল ২২ থেকে ২৩ করে বিজেপিকে ২৪-র বার্তা দেবে তৃণমূল। মোদী গদি এখনই টলতে শুরু করেছে।”
আরও পড়ুন-বড় সাফল্যের মুখ দেখছে কাশ্মীর ফাইলস, শীঘ্রই বিবেকের নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে কঙ্গনাকে
আরও পড়ুন- স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিমান। প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজির ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী মলয় ঘটক। তবে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করায় তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপি। এমনকি তাঁকে বহিরাগত হিসাবেও তোপ দাগা হয়েছে। যা নিয়েও তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে গত কয়েকদিন ধরে। তবে পাল্টা দিতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবিরও।
আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ