জঙ্গিপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। রেহাই মেলেনি বিএসএফ ক্যাম্পেরও। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৭৮ নম্বর বিএসএফ বর্ডার আউটপোস্ট ক্যাম্প। ফলে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।
ঝাড়খণ্ড ও বিহারে ভারী বৃষ্টির ফলে মুর্শিদাবাদে বিপদ সীমার প্রায় ১.৬০ মিটার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গার জল। এই পরিস্থিতিতে ফরাক্কা ব্যারেজের ১০৯ স্লুইস গেটের মধ্যে প্রায় সব লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তা থেকে কয়েক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে জঙ্গিপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। রেহাই মেলেনি বিএসএফ ক্যাম্পেরও। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৭৮ নম্বর বিএসএফ বর্ডার আউটপোস্ট ক্যাম্প। ফলে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফরাক্কার কুলিদিয়ার, চড়সুজাপুর, সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান সহ রঘুনাথগঞ্জের একাধিক এলাকায়। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে জলের চাপে সামশেরগঞ্জের নিমতিতায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। তার ফলে গঙ্গার জল ঢুকে পড়েছে এলাকায়। ফলে আরও সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জওয়ানরাও আশ্রয় নিয়েছেন প্রাথমিক স্কুলে।
আরও পড়ুন- জলদাপাড়ার জঙ্গলে মিলল গন্ডারের দেহ, অক্ষত খড়গ, তদন্ত শুরু বন দফতরের
আরও পড়ুন, Tripura: ত্রিপুরায় রাখি বন্ধন উৎসবে মাতবে তৃণমূল, ৬০ বিধানসভায় 'পিসি-ভাইপো'-র পোস্টার
জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনডিআরএফ সহ পুলিশ, প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি ফরাক্কা ব্যারেজের জিএম বলেন, "১৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কয়েকটি লকগেটে কাজ চলছে। বাকি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির চাপ বাড়লে আরও জল ছাড়া হতে পারে। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।"
আরও পড়ুন, সোমবারই সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসে শিখা মিত্র, সোমেন পত্নীকে ফোন মমতার
আরও পড়ুন- ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা, ক্ষোভে জাতীয় সড়ক অবরোধ স্থানীয়দের
বিপদ সীমা অতিক্রম করে গঙ্গা বইতে থাকায় হু হু করে বাড়ছে জল। ফলে ফরাক্কার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ১০৯টি লক গেটের প্রায় সবই খুলে দিয়েছে। তার জেরে ইতিমধ্যেই শিকারপুর, নিমতলা ও ডিয়ার ফরেস্ট এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, "জল ছাড়ার ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পরিবার স্থানীয় কুলিদিয়ার প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কায় ভুগছেন। বেশকিছু পরিবারকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।" আগামীদিনে আরও ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।