বিশ্বভারতী অধ্যাপকরা এবার হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে এবার কেন্দ্রী শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তেক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন বা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টি অ্যাসোশিয়েশন (VBUFA)। কার্যত বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যায়লকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তাঁরা।
দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র বিক্ষোভ চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনকাী পড়ুয়া-উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উভয়ই অনড় নিজেদের জেদে। এই অবস্থায় রিলে আনশনের পথে হেঁটেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি যে তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেও সরে যেতে হবে। এই অবস্থায় পড়ুয়ার উপাচার্যের বাড়ির সামনে চলছে আন্দোলন। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন উপাচার্য। পড়ুয়াদের রিলে অনশনের দুদিন পরেও পরেও সামান্যতম বদলায়নি পরিবেশ।
Panjshir: হারতে নারাজ আহমেদ মাসুদ পাঠালেন অডিও বার্তা, পঞ্জশির দখলের পরেও সতর্ক তালিবানরা
এখানে আঁধার নামে না, চলুন ঘুরে আসি বিশ্বের ১০টি জায়গায় যেখানে সূর্য কখনও অস্ত যায় না
শিক্ষক সংগঠনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, অনিয়মিত বেতন দেওয়া, নিময় বহির্ভূতভাবে বেতন কাটা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে পরিণত হয়েছিল আগে। তাতে নতুন সংযোজন বেতন বিতরণের ইচ্ছাকৃত বিলম্ব। চলতি বছর জুন ও জুলাই মাসে যা কর্মীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। কয়েকবার জোর করে বেতন কাটাও হয়েছে। উপাচার্য অনুষদ সদস্যদের শোকজ করেছেন। সাময়িক বরখাস্ত করছেন। যা তাঁর ব্যক্তিগত অহংকে সন্তুষ্ট করছে। যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে হয়রানির সামিল। এজাতীয় অপমান শিক্ষাক্ষেত্রের ক্ষতি করছে। এমন অভিযোগও তাঁরা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি মামলাও বৃদ্ধি পেয়েছে। যা কর্মীদের হয়রানির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল আর্থিক ক্ষতি করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে বলেও চিঠিতে জানান হয়েছে। একটি সূত্র বলছে উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫টি পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর শূন্যপদ পুরণ করাও হয়েনি বলে।
সুর চড়ছে বিশ্বভারতীর আন্দোলনের, এক দিকে রিলে অনশন, অন্যদিকে শিক্ষক দিবসের সম্মান উপাচার্যকে
একটি সূত্র বলছে পড়ুয়াদের পর এবার অধ্যাপকরাও আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তাঁরা এক মঞ্চে আন্দোলনে রাজি নয়। যৌথমঞ্চ তৈরি করেই আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলনে শিক্ষাকর্মীদের একটি অংশ, শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীরাও যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।