২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অতিমারি করোনার প্রকোপের কারনে সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্য সরকার মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পঠন পাঠন শুরু করলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় তাও দুসপ্তাহ পরে বন্ধ করে দেয়।
রাজ্য সরকারের (State Govt) নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় দুবছর পর বুধবার থেকে স্কুল খুললেছে (school reopen)। করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণকালে এই প্রথম প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কোভিড-১৯ (COVID -19) বিধি মেনেই স্কুল খোলার কথা বলেছে রাজ্য সরকার। আড়াই বছর পর স্কুল খুললেও বুধবার সেভাবে দেখা মেলেনি পড়ুয়াদের (student)। তাই অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোভিড আতঙ্ক কাটাতে উদ্যোগ নিলেন স্কুলের শিক্ষকরাই। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করার লক্ষ্যে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাই ঘুরছেন দুয়ারে দুয়ারে। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলে পাঠানোর আবেদন জানালেন স্কুলের শিক্ষকেরা। করোনা আবহ কাটিয়ে দুবছর পর ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এমনই অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুলের অভিভাবকেরা।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অতিমারি করোনার প্রকোপের কারনে সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্য সরকার মাঝে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর পঠন পাঠন শুরু করলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় তাও দুসপ্তাহ পরে বন্ধ করে দেয়। আর প্রাথমিক স্কুল তো খোলেইনি। ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলের পঠন পাঠন শুরু করে। এবার পাকাপাকিভাবে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয় রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুল।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দুবছর পর রায়গঞ্জ ব্লকের নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খোলা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে স্কুলে প্রথম দিনেই উপস্থিতির সংখ্যা একেবারেই কম দেখা যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারনা করোনা সংক্রমণের ভয়ে অভিভাবকেরা তাদের খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেনা। আর সেকারনে নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নোয়াপাড়া গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পাঠানোর আবেদন করছেন৷ স্কুলে রীতিমতো কোভিড বিধি মেনে পঠন পাঠন করানো হচ্ছে, শিশুদের স্কুলে কোনও সংক্রমণের ভয় নেই তা অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন। অভিভাবকেরা জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষকেরা এসে স্কুলে শিশুদের পাঠানোর কথা বলে গেলেন। আগামীকাল থেকে তাঁরা শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নীরেন্দ্র নাথ দাস বলেন আজ বুধবার আমাদের এই নোয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরুর প্রথম দিনেই আমরা খেয়াল করেছি অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠান নি। তাই অভিভাবকদের মধ্যে করোনা নিয়ে ভয়ভীতি কাটাতে এবং স্কুলে শিশুদের পাঠানোর জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আবেদন করে এসেছি।
হিজাবে 'না', হাইকোর্টের রায় ঘিরে অশান্ত কর্নাটকের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমানের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত
'প্রেমের তেমন গল্পই নেই' স্ত্রী চিত্রানীকে নিয়ে কেন এমন আক্ষেপ বাপ্পিদার