করোনা যুদ্ধে ছবি হাতিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দিতে চায় স্কুলছাত্রী

 
  • করোনা ত্রাণে সাহায্য়ের অঙ্গীকার
  • ছবি আঁকছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী
  • ছবি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় সে
  • হুগলির হরিপালের ঘটনা

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 13, 2020 7:47 PM IST / Updated: Apr 14 2020, 11:17 AM IST

কতইবা বয়স হবে! নেহাতই বালিকা। কিন্তু তাতে কি! করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নাড়িয়ে দিয়েছে সিবিএসসি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রিদ্ধি দাসকেও। রঙ-তুলি হাতে তুলে নিয়েছে সে। নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাবে, তার পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করতে চায় রিদ্ধি। 

আরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, বিহার থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছেন নদিয়ার ফেরিওয়ালারা

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক থরহরকম্প গোটা দেশ। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে সচেতন করতে নিজে রাস্তায় নেমেছেন তিনি। আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলবে রাজ্যে। ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজও। উচ্চমাধ্যমিক তো বটেই, করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে গিয়েছে সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও।



আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের যুবকের মৃত্যুতে বন্ধ আইসোলেশন ওয়ার্ড, আতঙ্ক ছড়াল রামপুরহাটে

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ফের সাফল্য, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মেদিনীপুরের যুবক

হুগলির হরিপালের খামারচণ্ডী গ্রামের বাড়ি রিদ্ধি দাসের। সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রীটির এবছর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়া কথা ছিল। পরীক্ষা তো স্থগিত হয়েই গিয়েছে, লকডাইনের কারণে এখন বাড়ির বাইরেও বেরোতে পারছে না সে। ঘরে বসে দিনরাত ছবি এঁকে চলেছে স্কুল ছাত্রীটি। রঙ-তুলির ছোঁয়ায় সাদা কাগজে ফুটে উঠছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড।  কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাকে বাঁচাতে প্রাচীর মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি, কোনও ছবিতে  আবার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে জনগণকে রক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্রেফ সময় কাটানোর জন্যই কি ছবি আঁকছে রিদ্ধি? তেমনটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে।  স্কুল ছাত্রীটি জানিয়েছে, যদি কেউ নিতে চায়, তাহলে ছবিগুলি দিয়ে দেবে সে। যে টাকা পাওয়া যাবে, তাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করবে। মেয়ের এই মানসিকতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রিদ্ধির বাবা-মা। বাবা মনোজিৎ দাস স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী।  তিনি নিজেও মাইনের টাকা একটা অংশ দান করেছেন করোনা মোকাবিলায়, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। 


 

Share this article
click me!