অনুব্রতর আন্দোলনে ব্রাত্য শতাব্দী, আমন্ত্রণই পাচ্ছেন না বীরভূমের সাংসদ

  • বীরভূমে অনুব্রত- শতাব্দী বিরোধ প্রকাশ্যে
  • নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি বিরোধী সভায় গরহাজির সাংসদ
  • সাংসদ না থাকলেও অসুবিধা নেই, দাবি অনুব্রতর
  • সভায় যাওয়ার আমন্ত্রণ পাননি, দাবি শতাব্দীর 
     


নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি-র বিরোধিতা করে পর পর সভা করে চলেছেন জেলা সভাপতি। অথচ দেখা নেই এলাকার সাংসদের। বীররভূমের রাজনীতিতে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বীরভূমের শতাব্দী রায়ের দূরত্ব ফের একবার প্রকট হয়ে যাচ্ছে জেলায় দলের সাম্প্রতিক আন্দোলন কর্মসূচিতে। অনুব্রত প্রকাশ্যেই বলছেন, সব কর্মসূচিতে সাংসদের থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই। আর সাংসদ শতাব্দী রাখঢাক না রেখেই স্বীকার করছেন, কর্মসূচিতে হাজির থাকার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি তাঁকে। 

রবিবারও রামপুরহাটে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী সভা করে তৃণমূল। সভায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও সভায় হাজির ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়. জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী. বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অথচ এত বড় সভাতেও দেখা যায়নি বীরভূমের সাংসদকে। অথচ তিনি রামপুরহাটে ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন শতাব্দী। 

Latest Videos

কেন এই সভায় ছিলেন না শতাব্দী রায়? প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, '“সাংসদ অসুস্থ ছিলেন কিংবা কাজে ব্যস্তছিলেন তাই আসতে পারেননি। তাঁকে সভায় থাকতেই হবে তার কোনও মানে নেই। ওনার জখন ইচ্ছে হবে জনসভা করবেন। আমার সভায় কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ না থাকলেও চলবে। শুধু ব্লক সভাপতি আর অঞ্চল সভাপতিরা থাকলেই হবে।'

আরও পড়ুন- ফর্ম ভরলেই কম্পিউটার ভাঙবে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নয়া হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

শতাব্দী অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, অসুস্থ বা ব্যস্ততার কারণে নয়, দলের তরফে আমন্ত্রণ না পেয়েই তিনি সভায় আসেননি। বীরভূমের সাংসদ বলেন, '“আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। নিমন্ত্রণ না থাকলে কীভাবে যাব। আমি তো রামপুরহাটেই ছিলাম। সভায় যাওয়ার জন্য জানালে নিশ্চয়ই যেতাম।'

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রতর সঙ্গে শতাব্দীর বোঝাপড়া নেই। এর আগে অনুব্রতর ভাষা প্রয়োগ নিয়েও প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন শতাব্দী। দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বিরোধের জেরে গত লোকসভা নির্বাচনে শতাব্দীর টিকিট পাওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁকেই প্রার্থী করে তৃণমূল। 

রবিবারের সভা থেকেই অনুব্রত হুমকি দিয়ে বলেন, কোনও সাইবার কাফে-তে অনলাইনে এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইনের জন্য ফর্ম ভর্তি করা হলে সেখাকার কম্পিউটার ভেঙে দেওয়া হবে। সাইবার কাফে মালিকদের চুল কেটে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh