'লুঠ না করে একটি ভোটও এরা পাবে না। তাই ভোট লুঠ হওয়ার আগেই ভোট দিয়ে আসুন', শিলিগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনটাই বললেন সাংসদ অর্জুন সিং। বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে এদিন শিলিগুড়িতে আসেন সাংসদ অর্জুন সিং।
'লুঠ না করে একটি ভোটও এরা পাবে না। তাই ভোট লুঠ হওয়ার আগেই ভোট দিয়ে আসুন', শিলিগুড়িতে নির্বাচনী Campaign for siliguri Municipal Corporation প্রচারে এসে এমনটাই বললেন সাংসদ অর্জুন সিং। ১২ তারিখ শিলিগুড়ি পুর নিগমের নির্বাচন (Siliguri Municipal Corporation Election 2022) । এই নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে এদিন শিলিগুড়িতে আসেন সাংসদ অর্জুন সিং ( BJP Leader Arjun Singh )।
শিলিগুড়ি এক নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী কানাইয়া পাঠকের হয়ে প্রচার করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মন। তিনি বলেন, 'লুঠ না করে একটি ভোটও এরা পাবে না। তাই ভোট লুঠ হওয়ার আগেই ভোট দিয়ে আসুন। শিলিগুড়ির উন্নয়নের জন্য যে টাকা আসে, সেই টাকাকে সঠিক কাজে ব্যবহার করার জন্য শিলিগুড়িতে বিজেপির বোর্ড গঠন করুন।বোর্ড গঠন হলে কেন্দ্রের যে সব প্রকল্প গুলো আসে তা সহজেই আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। সারা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে শিলিগুড়ি করপোরেশনেও লুঠ ও স্বজন পোষণ হচ্ছে। তাই এই লুঠকে বন্ধ করতে শিলিগুড়িতে ভারতীয় জনতা পার্টির সব প্রার্থীদের জিতিয়ে বোর্ড গঠন করুন।'
আরও পড়ুন, 'ওর হাতে রক্ত লেগে', মমতাকে নাম না করে তোপ, উত্তরপ্রদেশবাসীকে সতর্ক করলেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ির ভোট ( Siliguri Municipal Corporation Election 2022 ) হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রথমে ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল এই কেন্দ্রে। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই শিলিগুড়ি শহর জুড়ে ক্রমশ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে। উল্লেখ্য মোট ৪৭ আসনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল-সহ অন্যান্যরা। ২০১৫ সালে পুরভোটে এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মোট ২৩ আসন পায় সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস ১৭ টি আসন এবং বাকি আসন পায় বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল ১০ এবং বামে রা এক াসনে এগিয়েছিল। আর সেখানেই আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন, শিয়রে পুরভোট, কোন ফুলে মন 'ফরাসডাঙা'-র, রইল চন্দননগর পুরসভার সাতকাহন
রাজ্যে মধ্যে সত্য়িই বড় চমক শিলিগুড়িতেই। কারণ ১১ বছরের তৃণমূলের শাসনকালে শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে বারবার ব্যর্থ ঘাসফুল। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি ৩৩ নং পুরসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা শিলিগুড়ির ৬ বারের কাউন্সিলর তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও পর্যটন বিভাগের মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, 'শিলিগুড়ি কাণ্ড হয়েছিল। আমার মেয়র হওয়া আটকাতে কংগ্রেসকে সাপোর্ট করেছিল বামেরা। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও গৌতম দেবের হাতে দাঁয়িত্ব অনেক বেশি। বাকি ৪৬ টি ওয়ার্ডেও নির্বাচন সামলানোর দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধেই।' তবে গৌতম দেব নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও শেষ অবধি কি ফেলে আসা পরিসংখ্যানই কি সত্যি হতে চলেছে নাকি বাইশের যুদ্ধে কলকাতার রঙের মেলাবে শিলিগুড়ি, তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন, Bidhannagar Municipal Election 2022: দোরগড়ায় পুরভোট, রইল বিধাননগর পুরসভার সাতকাহন