সংক্ষিপ্ত
২২ জানুয়ারি বিধাননগরের ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এই কেন্দ্রে পুরভোটের আগে চলুন ঘুরে নেওয়া যাক, কোথায় কোন ফুলের কেমন ঘ্রাণ লুকিয়ে রয়েছে, বিধাননগর পুরসভার অলিগলিতে।
দোরগড়ায় পুরভোট। ২২ জানুয়ারি বিধাননগরের ভোট ( Bidhannagar Municipal Election 2022) হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বিধানগর পুরভোটে এবার মনোনয়ন দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩ জানুয়ারি। গণনা ২৫ তারিখ। এদিকে কোভিডে বেহাল দশা বিধাননগরের। তারই মাঝেই সাজোসাজো রব তৃণমূল, বিজেপি সহ বিরোধী শিবিরে। ৪১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। এই কেন্দ্রে পুরভোটের আগে চলুন ঘুরে নেওয়া যাক, কোথায় কোন ফুলের কেমন ঘ্রাণ লুকিয়ে রয়েছে, বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipal corporation) অলিগলিতে।
২০১৫ সালে নতুন করে তৈরি হয় বিধাননগর পুরসভা
২০১৫ সালে নতুন করে তৈরি হয় বিধাননগর পুরসভা। সে বছর অক্টোবারে তৃণমূলের হয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন সব্যসাচী দত্ত। জয়ের হাসি হাসেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ঘাসফুলের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় তাঁর। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এদিকে তখন রাজনৈতিক মহলে শিবির বদলানোর জল্পনা চলছিল। আর সেই জল্পনাকে সিলমোহর দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত। অমিত শাহ-র হাত ধরে বিধানসভা ভোটের টিকিট পান তিনি। কিন্তু শেষ অবধি সুজিত বসুর সঙ্গে ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর তিনি ফের পুরোনো দলে ফিরে আসেন একুশে সালেই। বিধাননগর পুরভোটে তিনি এবার তৃণমূলের হয়ে ফের লড়াই করবেন। ৩১ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থি করা হয়েছে। এদিকে সেই কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উপরেও ভরসা রেখেছে দল। এবার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণূলের হয়ে প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
দল বদলের পরেও সবসাচীর চিকিট
এই মুহূর্তে বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্বে মেয়র পদে রয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এখানে শেষ হওয়া নির্বাচনে মোট ৪১ আসনের মধ্যে সংখ্য়া গরিষ্ঠ সিটই তৃণমূলের। মোট সিটের ৩৭ টি তৃণমূল দখল করেছে। বাকি ৪ টি নিয়েছে বিরোধীরা। এই ৪ টির মধ্য়ে ২ টি বাম এবং ২ কংগ্রেসের। উল্লেখ্য় ডিসেম্বরেই বাইশের বিধাননগর পুরভোটের জন্য মোট ৪১ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে চলতি বছরে বিধানগরের প্রার্থী পদে দল বদলের পরেও সবসাচীর চিকিট পাওয়াটা বেশ অবাকই করেছে দলের ভিতরে। পাশাপাশি প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে নিজেই নিজের বিস্ময়তা আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ২০ নং ওয়ার্ডের মনোরঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেছেন, আমি ১৯৮৩ সাল থেকে এই এলাকায় রয়েছি। এবার এত বয়েসে টিকিট পাব , ভাবিনি। তাঁর লক্ষ্য নিকাশী ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ঠিক করা সহ একটি পাম্প হাউজও তৈরি করতে চান মনোরঞ্জন ঘোষ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জণগণনা অনুযায়ী বিধাননগর পুরসভায় মোট ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১০৭ জন বসবাস করেন। ৪১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বাধিক বেশি পরিমাণে জণসংখ্যা ২০ নং ওয়ার্ডে। যেখানে জনসংখ্যা ২০ হাজার ৯৮১ জন। আর এবার এই ওয়ার্ড থেকেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন মনোরঞ্জন ঘোষ।
বিধাননগরে প্রচারে রাজনৈতিক দল
তবে এবার লাগাম ছাড়া কোভিড বিধাননগর পুরসভা এলাকায়। এদিকে ২২ জানুয়ারি বিধাননগরে পুরভোট। এহেন পরিস্থিতি উদ্বেগও কম বাড়েনি প্রার্থীদের। এদিকে ইতিমধ্য়েই শুধু বিধাননগরেই ২৩ টি কনটেন্টমেন্ট জোন রয়েছে। রবিবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২৪,২৮৭ জন। এদিকে এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যেই পড়ছে বিধাননগর। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩ জন। যা এই মুহূর্তে রাজ্য়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ৪০ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী তুলসি সিনহা রায় ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রচারে বেরিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে বাড়িতে যাচ্ছি, কলিং বেল টিপে অপেক্ষা করছি। সেখানেই এলাকাবাসীর জন্য সৌজন্য এবং ভোট চেয়ে নেওয়া। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আমার সঙ্গে ৪ জন দলীয় কর্মী থাকছে। কোভিড বিধি মেনেই প্রচার করেছি।'