লকডাউনের জেরে ক্রেতাদের দেখা নেই, মাথায় হাত বীরভূমের রেশমগুটি শিল্পীদের

Published : Apr 28, 2020, 05:47 PM IST
লকডাউনের জেরে ক্রেতাদের দেখা নেই, মাথায় হাত বীরভূমের রেশমগুটি শিল্পীদের

সংক্ষিপ্ত

লকডাউনের জেরে ঘটল বিপত্তি অন্য জেলা থেকে আসতে পারছেন না ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন বীরভূমের রেশমগুটি শিল্পীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতি আশঙ্কা

হাতে আর বেশি সময় নেই। দু'একদিনের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে সব পরিশ্রম জলে যাবে! লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন বীরভূমে রেশমগুটি শিল্পীরাও। বিপুল আর্থিক ক্ষতিরও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ফের শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা, খতিয়ে দেখলেন করোনা পরিস্থিতি

বীরভূমের নলহাটি ২ ব্লকের দক্ষিণপুর ভদ্রপুর গ্রাম। গ্রামে ৬০টি পরিবারের বাস। রেশমগুটি চাষ করে সংসার চলে সকলেরই। পুরুষরা তো বটেই, এই কাজে হাত লাগান মহিলারাও। সময়সাপেক্ষই শুধু তাই নয়, এই রেশমগুটি তৈরি করতে পরিশ্রমও কিছু কম নয়। কীভাবে তৈরি হয় রেশম গুটি? রাজ্য সরকারের সেরিকালচার দপ্তর থেকে পলু পোকা কেনেন রেশমগুটি শিল্পীরা। এরপর বড় একটি  ডালায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় পলু পোকা ও তুঁতপাতা। তুঁতপাতা খাওয়ার পর পোকাদের শরীর থেকে লালা বেরিয়ে আসে। তা থেকেই তৈরি হয় রেশমগুটি। গ্রীষ্মকালে এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে সময় লাগে ২৫ দিন, আর শীতকালে একমাসের থেকেও কয়েকদিন বেশি। বীরভূমে এসে এই রেশমগুটি কিনে যান মালদহ ও মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ীরা। গুটি থেকে সুতো তৈরি করেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে শুরু থার্মাল স্ক্রিনিং, 'গান' হাতে তুলে নিলেন খোদ বিধায়কই

আরও পড়ুন: কৃষকদের 'বঞ্চনা', কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মাথা কামিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল নেতা

রেশমগুটি শিল্পীদের দাবি, গুটি তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাইরে থেকে খদ্দেররা আসতে পারছেন না। এভাবে যদি আর দু'একদিন ফেলে রাখতে হয়, তাহলে গুটি থেকে পোকা বেরিয়ে যাবে। তখন আর সুতো তৈরি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। সরকারের কাছে সাহায্য়ের আবেদন জানিয়েছে রেশমগুটি শিল্পীরা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে গোলমাল, মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট
'মমতা বাংলার গর্ব নয়, বাংলার গর্ত'—মেসি-কাণ্ডে নজিরবিহীন আক্রমণ শুভেন্দুর