বাংলার রাজনীতির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী। ২০১১ সালে বাংলায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে আজও পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শিখরে বিরাজ করছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গ নিয়ে তৎকালীন পঁয়ত্রিশ বছরের বাম জমানার পরিবর্তন ঘটনোর পিছনে শুভেন্দুর অবদান অনস্বীকার্য। ২০২০তেও তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। বেশ কয়েক মাস ধরে তৃণমূল থেকে দূরে থাকায় তাঁকে নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপিতেও তাঁর গুরুত্ব বাড়ছিল। এই অবস্থায় নিজের অবস্থান খোলসা করেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-পুকুরে নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, কিশোরীর মৃত্যু ঘিরে ঘণীভূত রহস্য
আরও পড়ুন-জবকার্ড চাইতে গেলে দুই গৃহবধূকে 'বেধড়ক মার' বিজেপি নেতার, তাঁদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
শুভেন্দু সম্পর্কে কিছু তথ্য
ইউপিএ জমানায় প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পূর্ব মেদিনীপুরের শিশির অধিকারীর সন্তান শুভেন্দু। কন্টাই কলেজ পড়াশুনা করেন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন শুভেন্দু। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে তাঁর রাজনৈতিক উথ্থান। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে বাম জমানার অবসান ঘটানোর পিছনে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
শুভেন্দুর রাজনৈতিক কেরিয়ার
২০০৬ সালে দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু। ২০০৯ সালে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। সে সময় শিল্প সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। ২০১৪-র লোকসভায় পুণরায় সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমান ভোটে জয়লাভ করেন শুভেন্দু। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। পরিবহণমন্ত্রী হন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন-বাড়ির চিলেকোঠায় বিরলপ্রজাতির পেঁচার বাসা, শোরগোল মুর্শিদাবাদের
শুভেন্দুর সম্পত্তির পরিমাণ
পুর্ব মেদিনীপুরে দুবারের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। দুবারের বিধায়ক। বর্তমানে শাসক দল তৃণমূলের পরিবহণমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬৪.৮১ লক্ষ টাকার সম্পতির মালিক শুভেন্দু অধিকারী।