অক্ষর চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হল বেনিয়াপুকুর থানায়। লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের (Lady Brabourne College) তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
হেড আফিসের বড়বাবুর ‘গোঁফ চুরি’ যাওয়ার গল্প অনেকেরই জানা। কিন্তু, অক্ষর (Letter) চুরি যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই নতুন। আর এবার সেই অক্ষর চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হল বেনিয়াপুকুর থানায় (Beniapukur Police Station)। লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের (Lady Brabourne College) তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
অক্ষরের হেরফেরে যে কি বিপত্তি ঘটতে পারে তা এবার চাক্ষুষ করলেন কলকাতার (Kolkata) মানুষ। আর এই হেরফেরের জেরে সামনে এল অশ্লীল বিষয়। তাও আবার খোদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তবে এই অক্ষর চুরির ফলে যে নতুন শব্দটি সামনে এসেছে তা দেখে কার্যত হেসে খুন নেটিজেনরা। শহরের অনেক পুরনো কলেজ লেডি ব্র্যাবোর্ন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও যথেষ্ট নাম রয়েছে। এহেন ঐতিহ্যবাহী কলেজের প্রবেশ পথের বাইরের তোরণে ইংরেজি ও বাংলা দু’টি ভাষায় লেখা রয়েছে কলেজের নাম (College Name)।
আরও পড়ুন- ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, সাতসকালেই দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা
আর সেই নাম থেকেই কয়েকটি অক্ষর চুরি হয়ে গিয়েছে। ইংরাজি হরফ চুরি যাওয়ায় কলেজটির নাম এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লেডি ব্রা’ (Lady Bra)। আর তা দেখেই পথচলতি মানুষজন থমকে যাচ্ছেন। অনেকেই কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখছেন। ভাবছেন চোখে ভুল দেখছেন না তো। কিন্তু, একটু খুঁটিয়ে দেখার পরই বিষয়টি বুঝতে পারছেন তাঁরা। আর তারপরই নিন্দায় সরব হচ্ছেন একাংশ। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার হওয়ার পর হাসিতে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। এদিকে একাংশকে আবার নিন্দা করতে দেখা গিয়েছে।
এনিয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কীভাবে অক্ষর চুরি করে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, "বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মনে হয় পেটের দায়ে কেউ চুরি করেছে। পুলিশকে বলেছি সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিত করুন। পূর্ত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাকি অক্ষরগুলি দ্রুত বসানোর অনুরোধ করেছি।"
আরও পড়ুন- 'পুরভোট পিছোনো সম্ভব কি', কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির তোরণ থেকেও বেশ কয়েকটি লেটার চুরি হয়ে যাওয়া নজরে এসেছে কর্তৃপক্ষের। ধাতব এই লেটারগুলি মূল্যবান সরকারি সম্পত্তি। তা এভাবে চুরি যাওয়ায় অনেকেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কে বা কারা এগুলি চুরি করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এগুলি বেচে ভালো টাকাও পাওয়া যায়। তাই এভাবে অনেকে চুরি করছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও একটি চক্র কাজ করছে বলে অনুমান শিক্ষামহলের। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।