মাত্র দেড় কাঠা জমি লিখে দেওয়া নিয়ে বচসা। আর তার জেরেই নিজের মাকে লোহার রড আর ধারাল অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যা করল গুণধর ছেলে। একই অভিযোগ উঠেছে মৃত বৃদ্ধার বউমা এবং নাতির বিরুদ্ধেও। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার অন্তর্গত কোতলাগ্রামে। মৃত বৃদ্ধার নাম সোহাগী দলুই(৭৭)।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোহাগীদেবীর চার ছেলে এবং পাঁচ মেয়ে। বৃদ্ধার স্বামী মৃত্যুর আগে তিন কাঠা জমি সোহাগীদেবীর নামে লিখে দিয়ে যান। মৃত বৃদ্ধার পাঁচ মেয়েরেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। ছেলেরাও বিয়ে করে আলাদা আলাদা সংসার পাতেন। ফলে, তাঁদের কাছে কার্যত বোঝা হয়ে ওঠেন সোহাগীদেবী। বৃদ্ধার নামে থাকা তিন কাঠা জজমির ভাগাবাগি নিয়ে ছেলেদের সঙ্গেও বচসা হতো সোহাগীদেবীর।
আরও পড়ুন- তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি, পাল্টা গণপ্রহারে মৃত্যু দুই দুষ্কৃতীর
ইদানীং কান্দিতে নিজের বড় মেয়ের বাড়িতেই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। বড় মেয়ের নামেই দেড় কাঠা জমি লিখে দেন তিনি। এর পরেই বাকি দেড় কাঠা জমি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য মায়ের উপরে চাপ বাড়ায় ছোট ছেলে রাজকুমার দলুই এবং তার স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু জমি লিখে দিতে রাজি হননি বৃদ্ধা। কয়েকদিন আগে বহরমপুরে ছেলেদের বাড়িতে আসেন ওই বৃদ্ধা। রবিবার জমি লিখে দেওয়া নিয়ে ফের ছোট ছেলের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। তার জেরেই বৃদ্ধাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত ছোট ছেলে এবং বউমা এবং নাতি। ধারাল অস্ত্র দিয়েও বৃদ্ধাকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মাকে খুন করার পরেই অবশ্য স্ত্রী চায়না দলুই এবং ছেলে মিঠুনকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত ছোট ছেলে রাজকুমার। মায়ের প্রতি এমন নৃশংসতায় স্তম্ভিত গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।