আনন্দভাবে দেবী, বাংলার লোকশিল্পকেই তুলে ধরে প্রথমবার থিমের স্রোতে সোনারপুর সর্বজনীন

  • বরাবরই সাবেকি ঘরানাতেই পুজো করে এসেছে সোনারপুর সর্বজনীন
  • এই প্রথম থিম পুজোর দিকে ঝুঁকেছে
  • প্রতীমা, প্যান্ডেল থেকে শুরু করে থিম সঙ্গীতেও তুলে ধরা হচ্ছে বাংলার লোকশিল্পকে
  • প্যান্ডেল সেজে উঠছে কালীঘাটের পটচিত্রে আর প্রতীমা গড়া হচ্ছে সরার আদলে

 

বরাবরই সাবেকি ঘরানাতেই পুজো করে এসেছে সোনারপুর সর্বজনীন, যা বেশি পরিচিত স্পোর্টিং ইউনিয়নের পুজো বলেই। কিন্তু, ২০১৯-এ এসে একেবারে খোলনলচে পাল্টে থিম পূজোর দিকে ঝুঁকেছে এই পুজো। তবে এবারই যে প্রথম থিমের পুজো তা সোনারপুর সর্বজনীনের প্যান্ডেলে এলে মনেই হবে না বলে দাবি করছেন আর্ট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মনোজ বৈদ্য। বিষয় ভাবনাটা তাঁরই। আরও একঝাঁক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই বছর সোনারপুর সর্বজনীনের পুজোয় তুলে ধরছেন বাংলার লোকশিল্প - সরা ও কালীঘাটের পটচিত্র শিল্পকে।

প্যান্ডেল সেজে উঠছে প্লাইবোর্ডের উপরে কালীঘাটের পটচিত্রে। বাংলার লোকায়ত স্বভাব শিল্পীদের হাতে যেভাবে বাবু সমাজের পরকিয়া কাহিনি রূপ পেয়েছিল তার সবটাই দেখা যাবে সোনারপুর সর্বজনীনের প্যান্ডেলে। এমনকী পরকিয়া ধরা পড়ে যাওয়ার পর বাবুকে বিবির ঝাঁটাপেটা করার চিত্রও থাকছে।

Latest Videos

এই সবটাই প্যান্ডেলে এমনভাবে থাকছে, যেমনটা কোনও প্রতিষ্ঠিত আর্ট গ্যালারিতে থাকে। বাড়তি কোনও আলো নয়, আর্ট গ্যালারির মতো ফোকাসড আলোর ব্যবহারে বাংলার লোকশিল্পীদের মূলস্রোতের শিল্পে প্রতিষ্ঠা দেওয়াই সোনারপুর সর্বজনীনের উদ্দেশ্য। মনোজের তত্ত্বাবধানে এই প্যান্ডেল গড়ার কাজটি করছেন তরুণ শিল্পী গৌতম রায়।

দুর্গা প্রতীমাটিও মনোজেরই নকশা করে দেওয়া। সেই নকশাটি হয়েছে বাংলার সরার আদলে। শৈলিতে লোকশিল্পীরা লক্ষ্মী-সরা আঁকেন, সেভাবেই শৈলিতেই প্রতীমা তৈরি করছেন মৃতশিল্পী সূরজ ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, এই প্রতীমার মধ্য দিয়ে শান্তির বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। দেবী এখানে যুদ্ধংদেহী রূপে থাকছেন না। বরং অশুভ শক্তিকে দমন করে আনন্দভাবে বিরাজিতা। প্রভু চৈতন্য়কে যেমন আনন্দভাবে দুই হাত মাথার উপরে তুলে থাকতে দেখা যায়, সোনারপুর সর্বজনীনে দেবী দূর্গাকেও এইবার সেই রূপেই দেখা যাবে। ত্রিশুল থাকবে সেই দুই হাতে ধরা, মহিশাসুরের বুকে বিদ্ধ অবস্থায় নয়। সেই সঙ্গে দেবীর প্রত্যেক হাতে তাকছে বিভিন্ন মঙ্গলচিহ্ন।

থাকছে থিম সঙ্গীতও। তবে সেখানেও বাংলার লোকশিল্পকেই তুলে ধরা হয়েছে। কোনও আধুনিক বা পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হয়নি সেই সঙ্গীতে। বরং একতারা, দোতারা-র মতো ক্রমে হারিয়ে যেতে বসা বাংলার একেবারে নিজস্ব বাদ্য যন্ত্রাদির ব্যবহারেই তৈরি হয়েছে সোনারপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসবের থিম সঙ্গীত।

প্রথমবার 'থিম পূজা'র স্রোতে এসেই সবদিক থেকে বাংলার লোকশিল্পকে তুলে ধরে সবাইকে চমকে দিতে চলেছে সোনারপুর সর্বজনীন। এইবার এই পুজো উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীশ ধনখর। উপস্থিত থাকবেন   

Share this article
click me!

Latest Videos

ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘West Bengal-এ জঙ্গিদের সরকারের মুখোশ Mamata Banerjee’ Suvendu Adhikari-র ঝাঁঝালো তোপ মমতাকে
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari