স্বামীর প্রেমিকাকে দুর্গা পুজার বাজার থেকে ধরে এনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটালেন স্ত্রী। রবিবার ভরসন্ধ্য়ায় এমন ঘটনাতেই চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে ওই প্রেমিকাকে উদ্ধার করে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে তবে কিছুটা শান্ত হন অভিযোগকারী গৃহবধূ।
রবিবার সন্ধ্য়ায় তখন রায়গঞ্জ শহরে জমে উঠেছে পুজোর বাজার। আচমকাই দুই মহিলার চিৎকার, চেঁচামেচীতে ভিড় জমে যায়। দেখা যায় এক মহিলাকে রীতিমতো রাস্তার ধারের বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেছেন অন্যজন। কী হয়েছে বুঝতেই কিছুটা সময় লেগে যায় প্রত্যক্ষদর্শীদের। শেষ জানা যায়, স্বামীর প্রেমিকাকে পুজোর বাজারে হাতেনাতে ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেছেন এক গৃহবধবূ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
ওই গৃহবধূ মণিকা সরকারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী নারায়ণ সরকারের সঙ্গে অঞ্জলি নামে ওই মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। স্বামীর প্রেমিকার জন্যই ২৯ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক প্রায় ভাঙনের মুখে। গত একবছর ধরে স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জন্য সংসারে আর্থিক অনটনও দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের প্রেমিকাকে নিয়ে রায়গঞ্জে পুজোর কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন নারায়ণবাবু। তখনই চুপিসারে তাঁদের পিছু নেন নারায়ণবাবুর স্ত্রী মণিকাদেবী। মোহনবাটি এলাকায় একটি জুতোর দোকানের সামনে থেকে স্বামী এবং তাঁর প্রেমিকাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই গৃহবধূ। স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকাকেও মারধর শুরু করেন তিনি। বিপদ বুঝে সরে পড়েন নারায়ণবাবু। কিন্তু তাঁর প্রেমিকা অঞ্জলিদেবীকে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলেন মণিকাদেবী। এর পরে তাঁকে মারতে শুরু করেন ওই গৃহবধূ। অঞ্জলি নামে ওই মহিলার অবশ্য দাবি, তিনি নির্দোষ।
গোটা ঘটনার জেরে ওই চত্বরে পুজোর কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ এসে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও পুজোর বাজারে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে চর্চা বন্ধ হয়নি।