মুর্শিদাবাদের ৭ আল-কায়দা জঙ্গিকে জেরা,ফাঁস সৌদি আরব যোগ

  •  মুর্শিদাবাদে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে জঙ্গিযোগের রসায়ন
  •  সীমান্তের এই জেলা এখন জঙ্গিদের আঁতুরঘর
  • আল-কায়েদার গ্রেপ্তার হওয়া ৭জঙ্গিকে ম্যারাথন জেরা
  • সোমবার জেরায় উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

Asianet News Bangla | Published : Sep 28, 2020 4:19 PM IST / Updated: Sep 28 2020, 10:35 PM IST

সময় যত গড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে জঙ্গিযোগের রসায়ন। ইন্দো-বাংলা সীমান্তের এই জেলা থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার দুই দফায় গ্রেপ্তার হওয়া ৭জঙ্গিকে ম্যারাথন জেরা করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সোমবার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।

দুর্গাপুজো কমিটিকে দেওয়া হবে সরকারি অনুমতি, ২ অক্টোবর থেকে অনলাইনে ফর্ম

বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,ডোমকলের নওদাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আল মামুন কামালকে জেরা করে জানা গিয়েছে-  সে পাসপোর্ট বানিয়ে আগামী বছর সৌদি আরব যাওয়ার চেষ্টা করছিল। লক্ষ্য ছিল একটাই, সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে জঙ্গি সংগঠন চালানোর জন্য ফান্ড সংগ্রহ করা। যদিও তার পরিবারের লোকজন এ দিন এই ঘটনা মানতে চাননি। 

মেট্রো যাত্রীদের জন্য় সুখবর,রবিবারেও চলবে কলকাতা মেট্রো রেল.

তবে আল মামুন সৌদি আরব যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করেছিল সে কথা অবশ্য পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করেছেন। আল মামুনের এক প্রতিবেশী বলেন, আমাদের এলাকার অনেকেই সৌদিতে যায়। অনেকে আবার ভবিষ্যতে সেখানে কাজে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করে রেখেছে। ও তারজন্যই আবেদন করেছিল। আবেদন করার পর ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক কারণে ওর গণ্ডগোল হয়। থানায় তার বিরুদ্ধে কেসও হয়েছিল। তাই সময়মতো পাসপোর্ট হবে কি না তারজন্য সে চিন্তায় ছিল। 

এক দালালের মাধ্যমে সে আবেদন করেছিল। তাড়াতাড়ি পাসপোর্টের ব্যবস্থা করার জন্য সে তার কাছেও গিয়েছিল। সময়মতো নথি হাতে পেলে ও সৌদি চলে যেত"। এখানেই শেষ নয় আরও  চাঞ্চল্যকর তথ্য এসে পৌঁছেছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে।গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মামুনের উপর ফান্ড সংগ্রহ করার দায়িত্ব ছিল। সে বিভিন্নভাবে অর্থ জোগাড় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কোনও উপায় না দেখে সে  রসিদ ছাপিয়ে চাঁদা তুলতে থাকে। সেই রসিদের বই কেরলেও পাঠানো হয়েছিল। 

সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য়ে পরিণত হয়েছে বাংলা, মমতাকে বিঁধে তির ধনখড়ের

সংগঠনের কাজের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে নির্দেশমতো সে টাকা সংগ্রহ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তার অ্যাকাউন্টে লকডাউনের সময়ও কয়েক হাজার টাকা এসেছিল। এদিকে সম্প্রতি জলঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া অপর জঙ্গি শামীম আনসারীআল মামুনের সঙ্গে বিভিন্ন  জায়গায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুলেছে।গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাদের নজরে থাকা বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে কোন কোন জায়গায় এই নজরদারি জারি রয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

Share this article
click me!