৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম শক্তিপীঠ নলাটেশ্বরী। কথিত আছে এখানে সতীর গলার নলি পড়েছিল। নলাটেশ্বরী থেকেই শহরের নাম নলহাটি।
ঝাড়খণ্ড সীমান্তের শহর নলহাটি। এখানকার পাথরশিল্পের কদর রয়েছে সারা ভারতে। মুলত ওই শিল্পের উপর নির্ভর করেই এলাকায় সমৃদ্ধি ফেরে। নলাটেশ্বী মন্দিরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এখানে মন্দিরের পিছনেই রয়েছে মাজার। যা সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
নলাটেশ্বরী মন্দিরে বছরে দু' বার বিশেষ পুজো হয়। দুর্গাপুজোর চারদিন মাকে দুর্গা রপে পুজো করা হয়। আর কালীপুজোর দিন মা নলাটেশ্বরীকে কালী রূপে পুজো করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত নন্দলাল বন্দ্যোপাধায় বলেন, 'দুর্গা পুজোর সময় শুধুমাত্র মায়ের নবপত্রিকা আনা হয় না। তাছাড়া পুজোর চারদিন মায়ের সমস্ত আচার মেনে পুজো করা হয়। কালী পুজোয় সকালে মঙ্গল আরতি করা হয়। তারপর শুরু হয় নিত্যপুজো। রাতে ১০৮ প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের বিশেষ আরতি করা হয়। নিশি অমাবস্যায় মায়ের মন্দিরে হোম যজ্ঞ করা হয়। মাটির প্রদীপ, মোমবাতি আর এলইডি লাইটে ঝলমল করে মন্দির চত্বর। বহু মানুষ মনস্কামনা পুরণ করতে মায়ের সামনে পাঁঠা বলি দেন।'
আরও পড়ুন- পালানোর চেষ্টা করেছিলেন মা, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ছাতনার কালীকে
আরও পড়ুন- ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন কামারপুকুরের বৈদ্যবাড়ির কালীপুজো, শুরু করেন পরমহংস দেবের চিকিৎসক
তবে কালীপুজোর দিন স্থানীয় মানুষের সমাগম হয় বেশি। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন। কিন্তু সংখ্যায় কম। শুধুমাত্র যাঁরা মানসিক রাখেন, তাঁরাই কালীপুজোর রাতে আসেন নলহাটিতে। মন্দিরের সেবায়েতদের দাবি, নলহাটিতে রাতে থাকার জন্য হোটেল বা লজ না থাকাতেই ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই এখানে কালীপুজোর রাতে থাকতে পারেন না। অধিকাংশ ভক্ত বা পর্যটকই তারাপীঠ এসে সেখান থেকে নলহাটিতে এসে ফিরে যান। ফলে অবিলম্বে নলহাটি অন্তত অল্প সংখ্যায় হোটেল বা লজ যাতে তৈরি হয়, সেই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং সেবায়েতরা।