মঙ্গলবার রামপুরহাট কলেজ খোলার আনন্দে ঢাক ঢোল বাজিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিল ছাত্ররা। একে অপরকে মাখিয়ে দেয় সবুজ আবির।
সরকারি নিয়ম মেনে খুলে গেল স্কুল-কলেজ (School College Reopen)। দীর্ঘ ২০ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় কোথায় ছাত্রছাত্রীরা (Student) উল্লাসে মেতেছে। আবার কোথাও ফুল (Flower) দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বরণ করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রামপুরহাট কলেজ (Rampurhat College) খোলার আনন্দে ঢাক ঢোল বাজিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিল পড়ুয়ারা। একে অপরকে মাখিয়ে দেয় সবুজ আবির। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে মিষ্টিমুখ করতেও দেখা গিয়েছে তাদের। রীতিমতো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা হতে নিয়ে চলে উল্লাস।
ছাত্র নেতা বিকি আলি বলেন, "দীর্ঘদিন পর কলেজ পুনরায় চালু হওয়ায় উল্লাস করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের বরণ করা হল মিষ্টিমুখ করিয়ে। এটা আমাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।" বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখছেন কলেজের অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "কলেজ তিনবার স্যানিটাইজ করা হয়েছে। কলা বিভাগের ছেলেমেয়েদের সপ্তাহে দু'দিন করে পর্যায়ক্রমে আসতে বলা হয়েছে। কারণ ওই বিভাগে প্রচুর ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পাশাপাশি আমরা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনও ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও বলেন, "যা হয়েছে কলেজের গেটের বাইরে হয়েছে। ফলে আমি কিছু দেখিনি। এমনটা না হলেই ভালো হত। তবে স্কুল-কলেজ খোলায় কোথাও ফুল দেওয়া হচ্ছে। কোথায় মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে। সে সব দেখেই ছাত্ররা অভিনব কিছু করার চেষ্টা করেছে। তবে কি ঘটেছে দেখব।"
আরও পড়ুন- 'সরকারের আর কত ছুটি চাই', নবান্নে ২ দিন ছুটি ঘোষণা করায় প্রশ্ন শুভেন্দুর
আরও পড়ুন- 'ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবর্তন আনতে বিজেপি কর্মীর দেহ স্থানান্তর', অভিযোগ শুভেন্দুর
রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এদিন স্কুলের গেট নীল সাদা বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। ছাত্রীদের স্কুলে ঢোকার মুখে দেওয়া হয় গোলাপ ফুল। ছড়ানো হচ্ছে ফুলের পাপড়ি। স্কুলের শিক্ষিকারাই ছাত্রীদের বরণ করে নেন। তবে স্কুল গেটে ঢোকার আগে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় খুশি শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল বাবুলকে ঝুনঝুনি দেবে’, মেয়র প্রার্থী প্রসঙ্গে বললেন দিলীপ
ছাত্রী ডলি মণ্ডল বলেন, "আজ স্কুলে ঢুকে প্রথম দিনের কথা মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে এদিনই আমরা নতুন করে ভর্তি হলাম। খুব ভালো লাগছে। ২০ মাস পর শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা হল। বান্ধবীরা এক সঙ্গে মিলিত হলাম।" ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার বলেন, "সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই স্কুল চালানো হবে। এই মুহূর্তে আমরা একটা বেঞ্চে দুই জন করে ছাত্রী বসিয়েছি। প্রত্যেককে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন গেটের বাইরে ছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে তবেই স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।"