সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে বাবুলকে চিন্তাভাবনা করছে তৃণমূল। এনিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তৃণমূল কিছুই করবে না বাবুল সুপ্রিয়কে কিছুই দেবে না ঝুনঝুনি দেবে।"
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র প্রার্থী (Mayoral candidate) হিসেবে ভাবা হচ্ছে বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo)। এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির (Bengal Politics) অন্দরে। আর তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। যদিও আদতে এসব কিছুই হবে না বলে মত বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। তাঁর মতে, 'এগুলো সবই লোককে খাওয়ানোর জন্য করা হচ্ছে'।
মঙ্গলবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে (Morning Walk) বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে বাবুলকে চিন্তাভাবনা করছে তৃণমূল (TMC)। এনিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তৃণমূল কিছুই করবে না বাবুল সুপ্রিয়কে কিছুই দেবে না ঝুনঝুনি দেবে। কাকে করবে সেটা ওনাদের ব্যাপার। বাবুল সুপ্রিয় কলকাতায় কবে কাজ করেছেন উনি ওখানকার ভোটার ও নন। ওটা আপনাদের খাওয়ানোর জন্য করা হয়েছে। ওগুলো কিছুই হবে না।”
আরও পড়ুন- বাজল স্কুলের ঘণ্টা, সতর্কতা মেনে ২০ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পা পড়ুয়াদের
সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। এমনকী, খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের তালিকায় বাবুলের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে বাবুলের সঙ্গে দিলীপের সখ্যতা যে একেবারেই না তা প্রায় সবারই জানা। এর আগেও বাবুলকে একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। সরাসরি বাবুলকে তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, “হ্যাঁ, একটা ব্যাঙ কোথাকার! যতদিন বিজেপিতে ছিলেন ততদিন বিজেপির ব্যাঙ ছিলেন। বিজেপির মতো মহাসমুদ্রে টিকতে পারেননি। তাই ডোবায় গিয়ে ডুব দিয়েছেন। যে বা যাঁরা দল ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁদের ভয় দেখিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের যাওয়ায় বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।”
আরও পড়ুন- মেঘ সরিয়ে নামল পারদ, মঙ্গলে সোনা রোদ মহানগরে, কুয়াশায় ঢেকে বাংলার জেলা
তাতে অবশ্য চুপ থাকেননি বাবুলও। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দিলীপের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় উপহার দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। তবে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বিজেপিতে থাকলেও সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া কখনই মজবুত হয়নি বাবুলের। এরপর মন্ত্রিত্ব হারানোর পর বিষয়টি আরও জোরদার হয়ে যায়। দল থেকে অনেকটা দূরে সরে যান তিনি। এমনকী, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে বেসুরো মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। দলের কোনও কর্মসূচিতেও তাঁকে আর দেখা যাচ্ছিল না। নিজেকের দলের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। রাজনীতিতেই আর থাকবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরই সবাইকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। অভিষেকের হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, "প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মমতা দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
আরও পড়ুন- পরিষেবা ব্যাহত হলে কড়া পদক্ষেপ, আরজি করে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট
তারই মাঝে এবার বাবুলকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে একটা গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। যদিও এসব ‘লোক খাওয়ানোর জন্য করা হয়েছে’ বলে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।