শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সন্তানদের নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন রেবিনা খাতুন নামে ওই মহিলা। যদিও রেবিনার পরিবারের দাবি, সাংসারিক অশান্তির জন্য তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
নতুন বছরেও যেন ঘুঁচছে না বিষাদের ছায়া। আর্থ-সামাজিক টানাপোড়েনের বলির হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এবার তিন সন্তানকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক মহিলা(woman jumped into the Ganges)। আর তাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাগরদিঘি থানা এলাকায়(Sagardighi police station area)। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সন্তানদের নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন রেবিনা খাতুন নামে ওই মহিলা। যদিও রেবিনার পরিবারের দাবি, সাংসারিক অশান্তির(Worldly unrest) জন্য তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তিনি। তার পর থেকেই শুরু হয় খোঁজাখুজি। এদিকে দুপুরে এক শিশুকন্যার দেহ ভেসে আসতে দেখেন সাগরদিঘি থানা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। কাবিলপুরে ভাগীরথী নদীর(Kabilpur Bhagirathi river) পাড় থেকে খাদিজা খাতুন নামের ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই সাড়া পড়ে যায় গোটা এলাকায়। শিশুটির দেহ উদ্ধার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন কেউ কেউ। জানার চেষ্টা করেন পরিচয়। খবর দেওয়া হয় থানায়।
এরপরই ওই শিশু কন্যাকে দেখে চিনতে পারেন শিশুটি এক মাসি। তারপরেই তিনি যোগাযোগ করেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ওই মহিলার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির কারণেই শিশু সহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মহিলা, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। যোগাযোগ করা হয়েছে বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও। তবে থানায় এখনও কারও নামে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বাংলার বুকে নতুন নয়। এর আগে গত বছরের জুনে হাওড়ার বাঁধঘাটে এক চল্লিশ বছরের মহিলাকে আচমকাই গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে দেখা যায়। যদিও সেই সময় ঘাটে থাকা মানুষেরাই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সে যাত্রায় রক্ষা পান ওই মহিলা।
আরও পড়ুন- পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুন স্বামীর, প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ঝুলল সিলিংয়ে
অন্যদিকে গত বছরের মে মাসে আবার কোলের শিশুকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে বালি ব্রিজ থেকে মরণঝাঁপ দিয়েছিলেন এক মহিলা। ফাঁকা সেতু থেকে সকালেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। লকডাউনের কারণে সেই সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফাঁকাই থাকত ব্রিজ। সেই সুযোগেই ঝাঁপ দেন তিনি। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা তা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছিল বালি থানার পুলিশ। এদিকে এমতাবস্থায় সাগরদিঘির ঘটনায় নতুন করে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।