সোমবার টানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছিল কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই জমা জলে নাজেহাল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল শহরে। জল জমেছিল সৌগতর বাড়ির সামনেও।
বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন কয়েকদিন আগেই। আর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সক্রিয় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবারই ভবানীপুর কেন্দ্রে (Bhawanipur By election) প্রচারে যান তিনি। সেখানে পুলিশের (Police) সঙ্গে তাঁর বচসাও বাধে। এমনকী, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতাদের কটাক্ষের জবাবও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই তালিকা থেকে রেহাই পাননি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও (Sougata Roy)।
সোমবার টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে জল জমেছিল কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন এলাকায়। সকাল থেকেই জমা জলে নাজেহাল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল শহরে। জল জমেছিল সৌগতর বাড়ির সামনেও। তারপর পাঞ্জাবি, নীল লুঙ্গি ও মাস্ক পরে হাঁটু জলে বেরিয়ে পরিস্থিতির খোঁজ নেন তিনি। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাঁটু জল ঠেলে এলাকায় ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। আর তা নিয়েই এবার সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষের শিকার হলেন তিনি।
আরও পড়ুন- হাতে তানপুরা, গলায় 'জাগো মা', পুজোর আগে মিউজিক ভিডিওতে 'কালারফুল বয়'
ওই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বললেন, "সৌগতবাবু এক সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। ফিজিক্সের অধ্যাপকও। ওঁকে এই দুরবস্থায় দেখে সত্যিই কষ্ট হয়। ভবিষ্যতে ওঁকে দুয়ারে নৌকা প্রকল্পের সুবিধা নিতে হবে।"
আরও পড়ুন- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী মনোজিৎ, বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী
সোমবার সন্ধের দিকে সময়ের অনেকটা আগে আচমকাই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। পরবর্তী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় সুকান্তের নাম। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেছিলেন, "এটা প্রত্যাশিত ছিল। সংসদে অধিবেশনের সময় শুনেছিলাম দিলীপ ঘোষ সরছেন এবং সুকান্ত মজুমদার নতুন রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের নিজে থেকেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। যে সভাপতির নেতৃত্বে দল হেরে যায় তাঁর সাধারণত পদত্যাগ করা উচিত। সুকান্ত মজুমদার নতুন তাই বাংলাকে চিনতেই তাঁর অনেক সময় লেগে যাবে। তত দিনে বিজেপি বাংলায় ক্ষয়ে যাবে।"
আরও পড়ুন- "মমতা ক্ষমতালোভী, একসময় এই দলে আমিও ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম", আক্রমণ শুভেন্দুর
সৌগত রায়ের ওই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, "এই নিয়ে ওঁকে ভাবতে হবে না। দেখলাম তিনি লুঙ্গি পরে জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাদের দেখে খুব কষ্ট হয়। দুয়ারে নৌকার সুবিধা নিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছুদিনের মধ্যেই রাজি হয়ে যাবে বলে মনে করছি।"