ছবি তিনটি টুইট করে শুভেন্দু বলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম মানবতার ছবি দেখা গেল। ঔদ্ধত্যের নয়া নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা।
রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের(Republic day 2022) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। উপস্থিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee) । আপাত দৃষ্টিতে কোনও বিতর্ক না থাকলেও, তিনটি ছবি পোস্ট করে বিতর্ক উস্কে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Leader of Opposition in the state and MLA of Nandigram) ।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অথচ প্রতি নমস্কার করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি ছবিতেই এই চিত্র। তৃতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রবেশ করছেন রাজ্যপাল। অথচ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াচ্ছেন না মমতা। এই তিনটি ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্যের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ছবি তিনটি টুইট করে শুভেন্দু বলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম মানবতার ছবি দেখা গেল। ঔদ্ধত্যের নয়া নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে মমতার এহেন আচরণের কারণও খুঁজে বের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন রাজ্য সরকারের দিকে একাধিক কড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাজ্যপাল। যার কোনও সঠিক উত্তর আজ অবধি দিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই কারণেই রাজ্যপালের সঙ্গে এই ধরণের আচরণ করেছেন মমতা।
তবে শুভেন্দুর এই টুইটের পর একাধিক মন্তব্য ভেসে এসেছে নেটদেওয়ালে। নেটিজেনরা বলেছেন শুধু ঔদ্ধত্য নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সংস্কৃতিও তুলে ধরেছেন এই মঞ্চে। সেইসঙ্গে নন্দীগ্রামে হারের দুঃখ এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। তবে রাজ্যপালের সম্পর্কেও ভেসে এসেছে সমালোচনা। কেউ কেউ বলেছেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা নেই এই রাজ্যপালের। তবে রাজ্যপাল বিরোধী দলনেতা হিসেবে ভালো কাজ করছেন বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-জয়প্রকাশ প্রসঙ্গ উঠতেই মেজাজ হারালেন শান্তুনু, বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন সুকান্ত
উল্লেখ্য, বাংলার রেড রোডের কুচকাওয়াজে ডাক পাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যুতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু। রীতিমতো ব্যক্তিগত স্তরে নেমে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, "আমার মনে হয়েছে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায় আমার কাছে হেরেছেন বলে সেই সেই যন্ত্রণা থেকে তিনি আমাকে ডাকতে দেননি। তাঁর নির্দেশেই এটা হয়েছে। আপনারা জানেন ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোন ওষুধ বের হয়নি।”