সংক্ষিপ্ত

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছিল আইএসএফ কর্মীরা। কিন্তু আইএসএফ-র অভিযোগ তাদের পতাকা উত্তোলনে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মীরা।

শেষ বিধানসভা ভোটে (Assembly election 2021) জোটের রাস্তায় হেঁটে রাজ্যে একটিও আসন জিততে পারেনি বামেরা। উল্টে শুধুমাত্র ভাঙড় জিতে সংযুক্ত মোর্চার (Sanjukta Morcha) মুখ রক্ষা করেছিল আইএসএফ। কিন্তু ভোট মিটতেই ফের ভাঙড়ে শুরু হয়ে যায় দলবদলের খেলা। বহু বিজেপি, সিপিএম এমনকী আইএসএফ সমর্থকেরা (ISF supporters) ভিড়তে থাকেন তৃণমূলে (Trinamool)। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় চলে যোগদান পর্ব। এমতাবস্থায় এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সেই ভাঙড়েই। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার গড়াইজুলি এলাকায়।

সূত্রের খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের (National flag hoisting) ব্যবস্থা করেছিল আইএসএফ কর্মীরা। কিন্তু আইএসএফ-র অভিযোগ তাদের পতাকা উত্তোলনে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী আইএসএফ-এর দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এদিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় পৌঁছান আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনিও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, জাতীয় পতাকার সঙ্গে অবমাননা হচ্ছে। পতাকাটা কেড়েকুড়ে আমাদের কর্মীদের হাত থেকে নিয়ে চলে গিয়েছে, বাঁশটা ফেলে দিয়েছে, মারধর করেছে লোকাল ছেলেদের। দেখুন আমি একটা জিনিস বুঝি, রাষ্ট্রের আর আমার তেরঙা পতাকার উর্ধ্বে কেউ নয়। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীও নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও নয়। আর কাইজার দাও নয়। এর একটা বিহিত আমি করব। এর আগে ১৫ অগাস্ট যখন পতাকা উত্তোলন করা হয় তখনও ওরা একটা ঝামেলা পাকিয়েছিল। সেই বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মহলে অভিযোগ জানিয়েছি। এবারেও যতদূর যেতে হয় যাব।

আরও পড়ুন-‘দুয়ারে মদে’ সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা

আরও পড়ুন- জয়প্রকাশ কাঁটায় বিদ্ধ পদ্ম শিবির, বিজেপিতে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব

এদিকে সম্প্রতি ভাঙড়ে বারেবারেই তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের শিবির সঙ্গে ঝামেলায় ঝড়াতে দেখা গিয়েছে আইএসএফ কর্মীদের। এদিনও আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, কাইজারের শিবিরের লোকজনই এদিন তাদের পতকা উত্তোলনে বাধা দেয়। এদিকে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় ছুটে আসে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের চেষ্টাতেই দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অবশেষে অনেক টালবাহানার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এখনও এলাকায় মৃদু উত্তেজনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একাধিক জায়গায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- লাদাখে কমেনি চিনা আগ্রাসন, সংঘর্ষের আবহে নর্দান-ইস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্বে ২ নতুন সেনা কর্তা