বিজেপির অন্দরে বিতর্ক তুঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। অশোক দিন্দার পর তমলুক সাংগাঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপির অন্দরে বিতর্ক তুঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। অশোক দিন্দার পর তমলুক সাংগাঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অশোক দিন্দাকে সমর্থন জানিয়ে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শিশির পুত্র। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু অনুগামীদের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধুমাত্র কোনও জেলার নেতা নন। তাঁকে না জানিয়েই বিভিন্ন জেলার, বিভিন্ন জেলার অফিসিয়াল হোয়টসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছে। তাই তিনি জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে মন্ডল সভাপতি নিয়ে মনোমালিন্যের জেরেই এই দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াছাড়ির পর্ব চলছে। অশোক দিন্দার পর তমলুক সাংগাঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অশোক দিন্দাকে সমর্থন জানিয়ে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বলে খবর। দলীয় সূত্রের খবর, অশোক দিন্দার পছন্দের পাঁচ জনকে মণ্ডল সভাপতি করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। যদিও তার সেই দাবিগুলি গুরুত্ব পায়নি শেষ অবধি। সেই কারণেই গতকাল অশোক দিন্দা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে চলে যান বলে বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর। যদিও শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি কোনও গ্রুপ ত্যাগ করেননি।
আরও পড়ুন, 'বাঁচার সম্ভাবনা কম, ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে,' অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত, এই কিছু আগেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেড়িয়ে যাওয়া নয়, উল্টে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থেকে যাওয়া নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছিল। সেখানেও নাম জড়িয়েছিল শুভেন্দুরই। 'শুভেন্দু প্রেমে আসক্ত আমরা' নামেরগ্রুপের অ্যাডমিন খোদ রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই গ্রুপেই ছিলেন কিনা তৃণমূলের দুই কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পশ্চিম মেদিনীপুরের দাস পুরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের এক উপপ্রধান এবং এখ তৃণমূলের যুব নেতা বিজেপি নেতার হোয়টস অন্য়াপে গ্রুপে থাকা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার আগেই তডডিঘড়ি করে গ্রুপ ছেড়়ে বেরিয়ে যান। যদিও তাতেই বিতর্ক থেমে থাকেনি। ওই দুই তৃণমূল নেতার দাবি, তারা জানতেনই না যে, ওই হোয়াটস অ্যাপ গুপে খোদ রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন, জানলে আগেই বেরিয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন, নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করতে জোর খাটিয়েছিল, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআরও জালে আরও ৩
শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছিলেন দাসপুরের তৃণমূলের যুবনেতা তথা তমলুক ঘাটাল সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির সম্পাদক কৌশিক কুলভি এবং দাসপুরে তৃণমূল পরিচালিত বাসুদেবপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা দাসপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজল সামন্ত। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় জোর বিতর্ক। তার কিছু পরেই ওই দুই তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন, 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস