বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের দাদাকেই খুন করে ফেলল ভাই। আর এই খবর জানাজানি হতে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যায় গোটা গ্রামে। দিন দুয়েক আগেও কিনা যাকে এলাকার মানুষ স্কুল শিক্ষক বলে যথেষ্ট সম্মান,মান্নিগণ্য করতো, তিনি কিনা না শেষ পর্যন্ত বৌদির প্রেমের টানে পেশাদার খুনি তে পরিণত হলেন। আর দাদাকে খুন করে নিজেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিল। স্থানীয় আদা অভিযুক্ত ভাইকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
৬ বছরের নাতির সমানে ধর্ষিতা ঠাকুমা, ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়াবহতা এবার সুপ্রিম কোর্টে .
সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী হোসেনপুর এলাকায়।ধৃত আলি জিন্নাহ নামের ওই করিতকর্মা স্কুল শিক্ষক বাড়ালার হোসেনপুরের বাসিন্দা। সে হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এদিনের বিকেলের শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ওই অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষকের নারকীয় খুনের ঘটনায় জঙ্গিপুরের মহকুমা আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় এবং পাশাপাশি তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিন স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , হোসেনপুরে মুরগি ফার্মের মালিক বছর ৪২এর নজরুল শেখের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় তার পোল্ট্রি ফার্মের মধ্যে থেকেই। এর পরেই এই ঘটনায় থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত নজরুল শেখের ঐ খুড়তুতো ভাই স্কুল শিক্ষক আলি জিন্নাহ।
জিতিন প্রসাদের পর কী শচীন পাইলট, দিল্লি সফর নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে ... Re
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে আলি জিন্নাহকেই জেরা করে। জেরায় আলি জিন্নাহর কথায় মেলে একাধিক অসঙ্গতি। তাতেই পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। আলি জিন্নাহকে আটক করে দফায় দফায় জেরা করা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে আলী জিন্নাহ। কবুল করে নেয় তার দাদাকে খুনের কথা। জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই অভিযোগকারীকে শুরু থেকে সন্দেহ হয় পুলিশের তারপরেই জানা যায় যাবতীয় তথ্য। এই খুনের ঘটনায় আর কারো মত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে"।
প্রয়াত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবারের প্রধান, ৩৯ স্ত্রী আর ৯৪ সন্তান রেখে পরলোকে জিয়ানা চানা ..
এদিকে এলাকায় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ালার হোসেনপুরের বাসিন্দা নজরুল শেখ। পেশায় পোলট্রি ফার্মের মালিক কে মাথায় ভারি জিনিস দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। তার পিঠেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা জানান, মৃত নজরুলের স্ত্রীর সঙ্গে খুড়তুতো ভাই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকআলি জিন্নাহর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রেমের পথের বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল নজরুল । হামেশাই তাদের পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত। আর এই নজরুলকে সরাতে আলি জিন্নাহ পরিকল্পনামাফিক দাদা নজরুলের পোল্ট্রি ফার্মে যায়। ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে আলি জিন্নাহ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে তড়িদাহতও করা হয় বলেও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে।