মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে যান শুভেন্দু। আর সেখানে গিয়ে পাল্টা কটাক্ষের জবাব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন। আর তার আগে বার বার ওই কেন্দ্রগুলিতে প্রচারের জন্য যাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) নেতারা। আর সেখানে গিয়ে একে অপরের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছেন তাঁরা। যেমন এর আগে মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সেখানে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে যান শুভেন্দু। আর সেখানে গিয়ে পাল্টা কটাক্ষের জবাব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) এক হাতে নিয়ে শুভেন্দু বলেন, "নন্দীগ্রামে লড়তে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে গোহারা হেরে ফিরেছেন। আবার ভবানীপুরে নির্লজ্জের মত দাঁড়িয়েছেন। ক্ষমতালোভী মমতা। বাবুল যেখানে গিয়েছেন, সেই মমতার মন্ত্রিসভায় সব ল্যাম্পপোস্ট। তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিনি। ওই দলে আমিও একসময় ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম।"
আরও পড়ুন- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী মনোজিৎ, বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী
আচমকা ১৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। ওইদিন তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "বাবুলের পদের লোভ খুব বেশি। আমার কাছে তিন তিনটে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার অফার ছিল আমি নিইনি। আরেকজনের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতেই বেসুরো। মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়াতেই বাবুল সুপ্রিয় শিবির বদল করেছেন। এই বদলের কথা আগে দলকে জানানো উচিত ছিল। তিনি দলত্যাগ করার ফলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বাবুল সুপ্রিয় মোটেও জননেতা নন। এমনকী, তিনি একজন ভালো সংগঠকও নন। যদিও তিনি আমার ভালো বন্ধু। সেটা আলাদা প্রসঙ্গ।"
আরও পড়ুন, By Election: ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কার প্রচারে হরদীপ সিং পুরী, পুলিশি বাধার মুখে সুকান্তরা
আরও পড়ুন- জোড়া ঘূর্ণাবর্তের আশঙ্কা, আকাশ কালো করে প্রবল বর্ষণ শুরু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে
তাঁর আরও সংযোজন, "সাত বছরের সাংসদ, কিন্তু মন্ত্রিত্ব চলে যেতেই বেসুরো আসানসোলের সাংসদ। দলত্যাগ করলেও সাংসদ পদ ছাড়েননি। আমি তিনটে দফতরের মন্ত্রী ছিলাম, সব ছেড়ে তবে এসে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি। এখানে এসেছি নরেন্দ্র মোদীকে দেখে। তাঁর মতো দক্ষ প্রশাসক, নেতা ও বিজেপির-এর মতো সংগঠন দেখে।" বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই ক্ষোভ উগরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। আর তারপর মুর্শিদাবাদে গিয়েও সেই একই বিষয় নিয়ে মমতা ও বাবুলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।