হোমওয়ার্ক না করার 'শাস্তি', শিশুর গায়ে গরম মোম ঢাললেন গৃহশিক্ষক

অভিযোগ, মোমবাতি জ্বেলে গরম মোম ওই নাবালকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঢেলে দেন। পাশাপাশি হাতা গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দেন বলেও অভিযোগ। নাবালকের হাতে, পায়ে ও পিঠে বড় বড় ফোসকা পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 26, 2021 2:43 PM IST / Updated: Aug 26 2021, 08:25 PM IST

হোমওয়ার্ক না করার ‘অপরাধ’-এ এক ছাত্রের শরীরে গরম মোম ঢেলে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের মা। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত। 

সালকিয়ার এক ফুল বিক্রেতার তিন সন্তান স্থানীয় গৃহশিক্ষক দীপক প্রজাপতির কাছে পড়ত। ১৪ অগাস্ট ওই গৃহশিক্ষক সন্ধেবেলায় ওই ফুল ব্যবসায়ীর বাড়িতে পড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রের বাবা মা বাড়িতে ছিলেন না। সে দাদা এবং দিদির সঙ্গে পড়তে বসে। এরপর দীপক তাদের পড়া ধরতে শুরু করে। কিন্তু, সেই ছাত্র পড়া বলতে পারেনি। উত্তেজিত হয়ে পড়েন দীপক।  

আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে হাজার পাতার চার্জশিট পেশ, নাম রয়েছে দেবাঞ্জন সহ ৮ জনের

অভিযোগ এরপরই মোমবাতি জ্বেলে গরম মোম ওই নাবালকের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঢেলে দেন। পাশাপাশি হাতা গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দেন বলেও অভিযোগ। নাবালকের হাতে, পায়ে ও পিঠে বড় বড় ফোসকা পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেটেছে জট, শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এরপর বাবা-মা বাড়ি ফিরলে তাঁদের গোটা ঘটনার কথা জানায় সে। তার দাদা-দিদিও সব কিছু বলে তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান অভিভাবকরা। তাঁকে চিকিৎসার পর গোলাবাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান নাবালকের বাবা-মা। 

আরও পড়ুন- দলীয় সদস্যদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত, 'ষড়যন্ত্র'-এর অভিযোগ রতুয়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

পরদিন ওই নাবালককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ১৯ অগাস্ট দীপক প্রজাপতির বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেন নাবালকের মা। কিন্তু, তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় নাবালকের মা বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। কমিশনারের নির্দেশে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক গ্রেফতার হয়নি। 

Share this article
click me!