হাসপাতালে করোনা টেস্ট করানোর পরই এক ছাত্রীকে উত্য়ক্ত করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। করোনা পরীক্ষার জন্য ছাত্রীর কাছে সাত হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মী।
আরও পড়ুন-মাছ ধরার জালে হস্তিশাবকের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে
জানাগেছে, পুরুলিয়া শহর লাগোয়া বেলগুমা এলাকার বাসিন্দা এক ছাত্রীর জ্বর হওয়ার কারনে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষার রিরোর্টে করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দ্বিতীয়বার আবারও পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই, অজানা একটি নম্বর থেকে ওই ছাত্রীকে ফোন ও মেসেজ করে উত্য়ক্ত করা হয়। কোভিড টেস্টের জন্য সাত হাজার টাকা দাবি করে হাসপাতালের কর্মী রাহুল ব্যানার্জী। শুধু তাই নয়, করোনা পরীক্ষার জন্য সে নিজেই ওই টাকা দেয় বলে দাবি করে। টাকার বিনিমিয়ে অন্য কিছু দাবি করে অভিযুক্ত রাহুল। এর বিরোধিতা করে হাসাপাতে এসে রাহুল ব্যানার্জী নামে ওই কর্মীকে ঘিরে প্রতিবাদ জানান ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন-অর্থের বিনিময়ে পাশমার্ক, প্রকাশ্যে এল অধ্য়াপকের নাম, শিলিগুড়ি ভাইরাল অডিও বিতর্ক
ছাত্রীর অভিযোগ, করোনা টেস্টের পর ওই ছাত্রীকে দিনে রাতে ফোন করতে থাকে রাহুল। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষার পর তার রিরোর্ট নিতে একা আসতে বলে রাহুল। মেসেজ করে অশ্লিল মন্তব্য করা হয় বলেও অভিযোগ। এর জেরে আতঙ্ক শুরু ছাত্রীর পরিবারে। এর বিরোধিতা করে রাহুল নামে ওই হাসপাতাল কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। সরকারি হাসপাতালে বিনা খরতে কোভিড টেস্ট হলেও কর্মীর টাকা দাবি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।