মুর্শিদাবাদের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ভুরকুন্ডা এলাকায় আচমকা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি পণ্য বোঝাই লরি পেছনের সজোরে ধাক্কা মারে। এর পরেই বিকট আওয়াজে গোটা এলাকার কেঁপে ওঠে।
মহালয়ায় (Mahalaya) বিষাদের সুর! দুর্ঘটনার কবলে উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাস ( North Bengal Transport Corporation), মৃত ৩ গুরুতর জখম কমপক্ষে ১২।
মহালয়ার দিনে ভয়াবহ সরকারি বাস দুর্ঘটনা (Terrible road accident) ঘিরে বিষাদের সুর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (National Highway 34) ওপর ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩, গুরুতর জখম ১২। বুধবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মুর্শিদাবাদের ভুরকুন্ডা এলাকায়। ঘটনার খবর জানতে পেরে তড়িঘড়ি বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
স্থানীয় মানুষজন প্রথমে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস থেকে গুরুতর জখমদের এক এক করে উদ্ধার করে। তাদের সকলকে চিকিৎসার জন্য জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে অধিকাংশকেই মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও বাস দুর্ঘটনায় মৃত চালক সহ ৩ জনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের নাম পরিচয় জানতে খোঁজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার একটি দূরপাল্লার বাস কলকাতা থেকে কোচবিহার এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে মুর্শিদাবাদের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ভুরকুন্ডা এলাকায় আচমকা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি পণ্য বোঝাই লরি পেছনের সজোরে ধাক্কা মারে। এর পরেই বিকট আওয়াজে গোটা এলাকার কেঁপে ওঠে। স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সকলে দেখেন ওই দূরপাল্লার উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাসটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
মিহিদানার পর এবার পালা সীতাভোগের, বাংলার মিষ্টি পাড়ি দিল মধ্যপ্রাচ্যে
এর পরেই সকলে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় এক এক করে বাসের মধ্যে থাকা যাত্রীদের রক্তাক্ত অবস্থায় বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌছানোর পরই চিকিৎসকরা ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়েছে।
খুশির খবর, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজোর আগেই চালু নতুন শিল্প, মিলবে প্রচুর চাকরি
প্রত্যক্ষদর্শী সুজয় মণ্ডল, আলম শেখ প্রমুখরা জানান,"আমরা বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে এসে দেখি মারাত্মক কান্ড। যাত্রীবোঝাই বাস পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে, যাত্রীরা বাসের ভেতর থেকে আর্তনাদ শুরু করেছে। তারপরেই উদ্ধার কাজে হাত লাগাই"।