শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলত মগজ ধোলাই, মুর্শিদাবাদে জঙ্গি নেটওয়ার্কের উৎস মাদ্রাসা

Published : Sep 23, 2020, 11:27 PM ISTUpdated : Sep 23, 2020, 11:30 PM IST
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলত মগজ ধোলাই, মুর্শিদাবাদে জঙ্গি নেটওয়ার্কের উৎস মাদ্রাসা

সংক্ষিপ্ত

গ্রামের মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে চলত অন্য কাজ  মাদ্রাসার আড়ালে অন্য় কাজ করত আলকায়দার রিক্রটাররা  এলাকায় ভিন রাজ্য থেকে আসা টাকায় চলত মাদ্রাসা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে আদতে জঙ্গি তৈরির মগজ ধোলাই চলত  

চমকের পর চমক। গ্রামের মানুষের অসহায়তা আর দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে চলত মাদ্রাসার আড়ালে অন্য় কাজ। এলাকায় ভিন রাজ্য থেকে আসা টাকায় মাদ্রাসা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলে আদতে জঙ্গি তৈরির জন্য মগজ ধোলাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গ্রেপ্তার হওয়া আল-কায়েদা জঙ্গি আল মামুন কামালের কাছ থেকে।

ভোটে লড়তে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে কাটমানি খাবেন মমতা,'দিদিকে হুল বাবুলের'

সূত্রের খবর, মূলত ডোমকলের নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি' আল মামুন কামাল এলাকায় একটি বেসরকারি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলার আড়ালে স্থানীয় শিশুদের মগজধোলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিত। পাশাপাশি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য ভিন রাজ্য কেরল থেকেও আর্থিক সাহায্য এসে পৌঁছতে আল মামুনের কাছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। 

রাজ্য় সরকারি কর্মীদের জন্য় সুখবর,১৬ ডিসেম্বরের মধ্য়ে দিতে হবে বকেয়া ডিএ

যদিও কেবলমাত্র ভিন রাজ্য থেকে আসা সাহায্যই নয় স্থানীয়ভাবে রসিদ ছাপিয়ে 'পশ্চিম নওদাপাড়া  মিনি শিশু শিক্ষা মাদ্রাসা 'কেন্দ্রের নাম করে টাকা তোলা হতো বলে জানা যায়। বছর দুয়েক ধরে এই ভাবেই এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল আল মামুন। কীভাবে শুরু হলো তার কাজ। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই এলাকা থেকে একাধিক তথ্য উঠে আসছে। দুই সন্তানের পিতা এই আল মামুন এলাকার মানুষের কাছে নিজের সাধাসিধে মানুষ পরিচয়় বানিয়ে রেখেছিল। সেই ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে  অতীতে কেরল পরে সেখান থেকে বেঙ্গালুরু নানান জায়গা ঘুরে আসে আল মামুন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আদতে টাকা জোগাড় করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর হাতে ঘড়ির পাঠ দেওয়ার  লক্ষ্যে।

বিজেপিতে থেকেও তৃণমূল সৌমিত্র, ভাইরাল অডিওতে পদ্মের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে দিব্বি সাধারণ ভাবেই মেলামেশা করত। ফলে বাইরে থেকে কোনওভাবেই তার কাজকর্ম সম্বন্ধে বোঝার উপায় ছিল না বলেই জানা যায়। এমনকী ছেলের জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে রীতিমতো হতবাক বাবা বৃদ্ধ ফরজ আলি মন্ডল। তিনি  বলেন, এটা বুঝে উঠতে পারছিনা কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো।তবে যদি আদতেই ছেলে কোনওভাবে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তার সাজা হওয়া দরকার।

অন্যদিকে ওই শিশু শিক্ষা মাদ্রাসা কেন্দ্রে শিক্ষা নিতে পাঠানো অভিভাবকরা রীতিমতো এই ঘটনার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত নানান ধরনের মিটিং শলাপরামর্শ চলত। সেক্ষেত্রে তারা ওই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত, কীভাবে আয়োজন করা হতো ওই বৈঠকের তার সবকিছুই খতিয়ে দেখছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সবমিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আড়ালে এলাকায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ এর কাজের রুট কতদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে তার হদিশ পেতে মরিয়া এনআইএ।

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর