সাইক্লোন যশ দাপট দেখিয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। শুধু মানুষই নয়, এর কবলে পড়েছে জঙ্গলের পশু পাখিরাও। যশের অভিঘাতে একাধিক এলাকায় ভেঙেছে বাড়িঘর, ভেঙেছে বাঁধ। ফলে প্লাবিত প্রচুর এলাকা। এই জলের তোড়ে এবার জঙ্গলের হরিণ ভেসে আসল লোকালয়ে। উদ্ধার করলো গোসাবা থানার টিম। ঘটনা গোসাবার পাখীরালয়ে।
ওই হরিণকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফরেস্ট রেঞ্জারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হরিণটি সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের পরেও বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি থেকে আতঙ্ক কাটেনি। বিশেষ নদী সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে হতে পারে ভরা কোটাল। সাংবাদিক সম্মলনে এদিন এসে এদিন এমনটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাই আগামী দুই দিনও সতর্ক থাকতে বলেছেন সকলকেই। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সকলে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই এখনও পর্যন্ত আমরা বাঁচতে পেরেছি। একটাও বাজে ঘটনা ঘটেনি। শুধু একজন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন , সেখানেই তিনি মারা গিয়েছেন। যারা বিদ্যুৎ-এ বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের সঠিক সময় রাজ্য সাহায্য করবে। পাশাপাশি জলের তোড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তাই যাঁদের কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদেরকেও সরকার সঠিক সময়ে সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। তবে এদিনও গত বছরের আমফানের কথা তুলেছেন তিনি। ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির পরেও কেন্দ্রের সাহায্য পাননি বলে ফের উল্লেখ করেছেন মমতা।
মমতা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবারও প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে পাওয়া খবর অনুযায়ী এক কোটি মানুষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দিঘাসহ বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শণে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। শুক্রবার নিজে এলাকা পরিদর্শণ করবেন তিনি। এখনই সঠিক করে বলা যাচ্ছে না ক্ষয় ক্ষতির মোট সঠিক পরিমাণ কত। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর, চলছে উদ্ধার কাজও।