আগেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, অশোক ভট্টাচার্য, রবীন দেহ, মৃদুল দে ও মিনতি ঘোষ।
ঘোষিত হল সিপিআইএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির নবগঠিত সম্পাদকমন্ডলী। ১৫ সদস্যের সম্পাদকমন্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন দেবলীনা হেমব্রম, দেবব্রত ঘোষ, জীবেশ সরকার ও জিয়াউল আলম। বয়স জনিত কারণে বাদ পড়লেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, অশোক ভট্টাচার্যদের মত সিপিআইএম নেতারা। শুক্রবার শেষ হবে এই দুইদিনব্যাপী রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক।
দেবব্রত ঘোষ হুগলির সিপিআইএম জেলা কমিটির সম্পাদক। জীবেশ সরকার উত্তরবঙ্গের নেতা। দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন তিনি। জলপাইগুড়ির জিয়াউল আলম চা-শ্রমিক আন্দোলনের নেতা। অন্যদিকে দেবলীনা হেমব্রম জঙ্গলমহল এলাকার লড়াকু নেত্রী। তিনি এবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন। এবার তাঁকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা হয়েছে।
সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর বাকি সদস্যরা হলেন -
১) মহম্মদ সেলিম (সম্পাদক)
২) রামচন্দ্র ডোম
৩) শ্রীদীপ ভট্টাচার্য্য
৪) অমিয় পাত্র
৫) সুজন চক্রবর্তী
৬) আভাস রায়চৌধুরী
৭) সুমিত দে
৮) শমীক লাহিড়ী
৯) কল্লোল মজুমদার
১০) অনাদি সাহু
১১) পলাশ দাস
আগেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, অশোক ভট্টাচার্য, রবীন দেহ, মৃদুল দে ও মিনতি ঘোষ। সেই শূন্যস্থান পূরণে সিপিএম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের মতো যুবাদের জায়গা দিতে পারে বলে জল্পনা চলছিল।
২০১১ সালেই বাংলায় পতন হয়েছে সিপিআইএম রাজত্বের। তারপর দুটো লোকসভা, বিধানসভা ভোটেও ভরাডুবিই হয়েছে বামফ্রন্টের। এমনকি পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোটেও বামেদের ভোট শতাংশ অত্যন্ত নগণ্য ছিল। অনেকেই মনে করতেন, বিভিন্ন দলগত ভুলের কারণেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না সিপিএম। তারমধ্যে অন্যতম কারণ হল সাদা চুলের নেতাদের গদি না ছাড়া। রাজ্য সম্মেলনের পর এই অভিযোগকে কার্যত নস্যাত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সিপিএম, তাই আবার প্রমাণ করে দিল বঙ্গ বামেরা।
শেষ হয়েছে দলের ২৬ তম রাজ্য সম্মেলন। সেই সম্মেলন থেকে ৮০ জনের নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে ৫৬ জন পুরনো মুখ এবং ২৪ জন নতুন মুখ।